খলিফা হাফতার বাহিনীকে সহযোগিতা করার কথা অস্বীকার করল রাশিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/world-i69367-খলিফা_হাফতার_বাহিনীকে_সহযোগিতা_করার_কথা_অস্বীকার_করল_রাশিয়া
রাশিয়া বলেছে, লিবিয়ার সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন কথিত ন্যাশনাল আর্মি’র ত্রিপোলি অভিযানে মস্কো কোনো সহযোগিতা করছে না। একইসঙ্গে রাজনৈতিক উপায়ে লিবিয়ার চলমান উত্তেজনা প্রশমনেরও আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।  রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
এপ্রিল ০৬, ২০১৯ ১১:৩০ Asia/Dhaka
  • হাফতার বাহিনীর দুই সদস্য
    হাফতার বাহিনীর দুই সদস্য

রাশিয়া বলেছে, লিবিয়ার সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন কথিত ন্যাশনাল আর্মি’র ত্রিপোলি অভিযানে মস্কো কোনো সহযোগিতা করছে না। একইসঙ্গে রাজনৈতিক উপায়ে লিবিয়ার চলমান উত্তেজনা প্রশমনেরও আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।  রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি অভিমুখে জেনারেল হাফতারের বাহিনীর অভিযানে রাশিয়া পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে পেসকভ বলেন, রাশিয়া এই ঘটনায় জড়িত নয়।

হাফতার বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন, তার নেতৃত্বাধীন কথিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এনএলএ ত্রিপোলিতে অভিযান চালাবে। বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ত্রিপোলি নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে হাফতার দাবি করছেন, ত্রিপোলিসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বর্তমানে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ আধিপত্য রয়েছে এবং তাদের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যেই তিনি এ অভিযান শুরু করেছেন। হাফতার বাহিনী বর্তমানে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বেনগাজি শহরে এই বাহিনীর সদরদপ্তর অবস্থিত।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ এ সম্পর্কে আরো বলেন, “আমরা লিবিয়া পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” তিনি বলেন, সামরিক উপায়ে লিবিয়ার চলমান সংকটের সমাধান করা যাবে না বরং এ ব্যাপারে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজতে হবে।

খলিফা হাফতার

এদিকে লিবিয়া সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে খলিফা হাফতারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এছাড়া, তিনি শুক্রবারই বেনগাজির নিকটবর্তী শহর তবরুকে পূর্বাঞ্চলীয়-পার্লামেন্টের স্পিকার আগুইলা সালেহ’র সঙ্গেও বৈঠক করেন।

লিবিয়ার শান্তি প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে চলতি মাসের শেষ দিকে যে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে তার প্রস্তুতি তদারকির জন্য গুতেরেস বর্তমানে লিবিয়া সফর করছেন। তিনি শুক্রবারের সাক্ষাৎ শেষে এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, লিবিয়ার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তারপরও রাজধানী ত্রিপোলিতে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/আশরাফুর রহমান/৬