লিবিয়ার সব পক্ষকে শান্ত হতে বলল রাশিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/world-i69433-লিবিয়ার_সব_পক্ষকে_শান্ত_হতে_বলল_রাশিয়া
লিবিয়ায় আরো রক্তপাত এড়াতে বিবদমান দু পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল (সোমবার) বলেন, সব পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে যে যুদ্ধ বহুসংখ্যক বেসামরিক লোকের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
এপ্রিল ০৯, ২০১৯ ০৮:১১ Asia/Dhaka
  • ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ (ফাইল ফটো)
    ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ (ফাইল ফটো)

লিবিয়ায় আরো রক্তপাত এড়াতে বিবদমান দু পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল (সোমবার) বলেন, সব পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে যে যুদ্ধ বহুসংখ্যক বেসামরিক লোকের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

এছাড়া, রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ জানিয়েছেন, লিবিয়ার বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে মস্কো যোগাযোগ করছে যাতে সংঘাত এড়িয়ে রাজনৈতিক উপায়ে চলমান সংকটের সমাধান করা যায়।

গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলি দখলের জন্য অভিযান চালালে নতুন করে দেশটিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। হাফতার বাহিনীর অগ্রাভিযান রুখতে লিবিয়ায় জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার পাল্টা অভিযান চালিয়েছে। এতে রোববার ত্রিপোলির কাছে প্রচণ্ড লড়াই হয়।

হাফতার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে লিবিয়ার সরকারি বাহিনী

২০১১ সালে লিবিয়ায় গণ-অভ্যুত্থানের পর ন্যাটো বাহিনীর হাতে সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। গাদ্দাফির মৃত্যু মারাত্মক রকমের ক্ষমতার শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে এবং দেশটিতে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশসহ বহু সংখ্যক নিষিদ্ধ সংগঠন গড়ে উঠেছে।

লিবিয়ায় এখন কার্যত দুটি সরকার বিদ্যমান। খলিফা হাফতারের নেতৃত্বে পূর্বাঞ্চলীয় তবরুক শহরভিত্তিক একটি সরকার এবং রাজধানী ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ সমর্থিত আরকেটি সরকার। ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের নেতৃত্বে রয়েছে ফায়েজ আল-সারাজ।#

পার্সটুডে/এসআইবি/৯