হোয়াইট হাউজে আড়ি পেতেছিল ইসরাইল; ব্যবস্থা নেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন
https://parstoday.ir/bn/news/world-i73609-হোয়াইট_হাউজে_আড়ি_পেতেছিল_ইসরাইল_ব্যবস্থা_নেয়নি_ট্রাম্প_প্রশাসন
মার্কিন সরকার এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে যে, গত দুই বছর ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইল হোয়াইট হাউজের আশপাশে এবং ওয়াশিংটন ডিসি’র অন্যান্য স্পর্শকাতার স্থানে গুপ্তচরবৃত্তির যন্ত্র বসিয়েছিল। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ‘পলিটিকো’ এ খবর দিয়েছে।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯ ১১:০৮ Asia/Dhaka
  • এই হোয়াইট হাউজের আশপাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গুপ্তচরবৃত্তির যন্ত্র
    এই হোয়াইট হাউজের আশপাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গুপ্তচরবৃত্তির যন্ত্র

মার্কিন সরকার এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে যে, গত দুই বছর ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইল হোয়াইট হাউজের আশপাশে এবং ওয়াশিংটন ডিসি’র অন্যান্য স্পর্শকাতার স্থানে গুপ্তচরবৃত্তির যন্ত্র বসিয়েছিল। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ‘পলিটিকো’ এ খবর দিয়েছে।

তিনজন মাবেক মার্কিন পদস্থ কর্মকর্তা বিষয়টি জানার পরও ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এমনটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিষয়টি জানার পরও তেল আবিবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেনি।

ওই তিন কর্মকর্তার একজন পলিটিকো’কে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প’সহ তার ঘনিষ্ঠ সহকারীদের ওপর নজরদারি করার জন্যই সম্ভবত গুপ্তচরবৃত্তির যন্ত্রগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। তবে ইসরাইল এসব যন্ত্র স্থাপন করে কোনো তথ্য হাতিয়ে নিতে পেরেছে কিনা তা খবরে উল্লেখ করা হয়নি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের কঠোর নিরাপত্তা প্রটোকল মেনে চলেন না বলে দুর্নাম রয়েছে

এতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের মে মাসে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন ডিসি’র বিভিন্ন স্থানে প্রথম এই গুপ্তচরবৃত্তির যন্ত্র খুঁজে পান। কিন্তু তারা তখন বুঝতে পারেননি কারা এগুলো স্থাপন করেছিল। পরে এফবিআইসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা বিস্তারিত ফরেনসিক গবেষণা চালিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হন যে, ইসরাইলই আড়িপাতার এসব যন্ত্র বসিয়ে রেখেছিল।

ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ খবরকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে এ বিষয়ক তদন্তে জড়িত মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তেল আবিবের এই দাবিতে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেছেন। তারা এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া দেখে হতাশ হয়েছেন।  ওই প্রশাসন ইসরাইলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক ব্যক্তিগতভাবে তিরষ্কার করা থেকেও বিরত থেকেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের কঠোর নিরাপত্তা প্রটোকল মেনে চলেন না বলে দুর্নাম রয়েছে। পলিটিকো ২০১৮ সালের মে মাসে খবর দিয়েছিল, তিনি তার বন্ধু ও আস্থাভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তুলনামূলক অনিরাপদ সেল ফোন ব্যবহার করেন।  মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস একই বছরের অক্টোবরে একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছিল, চীনা গোয়েন্দারা মাঝেমধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেল-ফোনের কথাবার্তা আড়ি পেতে শুনে থাকে। তবে ট্রাম্প ওই প্রতিবেদনের খবর বেমালুম অস্বীকার করেন। #

পার্সটুডে/এমএমআই/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।