সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইরাক ও ইরানের যৌথ তদন্ত কমিটির বৈঠক
https://parstoday.ir/bn/radio/iran-i103514-সোলাইমানি_হত্যাকাণ্ডের_বিষয়ে_ইরাক_ও_ইরানের_যৌথ_তদন্ত_কমিটির_বৈঠক
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও তার সহযোগীদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইরান ও ইরাকের যৌথ তদন্ত কমিটির তৃতীয় বৈঠক রাজধানী বাগদাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দু দিন ধরে এ বৈঠক চলবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২ ১৯:০২ Asia/Dhaka
  • জেনারেল সোলাইমানি
    জেনারেল সোলাইমানি

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও তার সহযোগীদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইরান ও ইরাকের যৌথ তদন্ত কমিটির তৃতীয় বৈঠক রাজধানী বাগদাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দু দিন ধরে এ বৈঠক চলবে।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন ড্রোন হামলায় সোলাইমানি ও তার সহযোগীরা বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছেই শহীদ হন। এরপর এ ঘটনার রাজনৈতিক ও আইনগত দিক পর্যালোচনার জন্য ইরাক ও ইরাক সরকার যৌথ কমিটি গঠন করে। ইরানের বিচার বিভাগের মানবাধিকার পরিষদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোলাইমানি হত্যার ঘটনার রাজনৈতিক ও আইনগত দিক যাচাইয়ের পর তেহরান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে এ লক্ষ্যে ইরান ও ইরাক কাজ করে যাচ্ছে।

ইরাকের মাটিতে ইরান ও ইরাকের প্রতিরোধকামী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের হত্যার পর দুদেশের বিচার বিভাগের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ইরাক সরকার এ বিষয়ে সহযোগিতা করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে। সমঝোতার এক নম্বর ধারা অনুযায়ী ইরান ও ইরাকের বিচার বিভাগ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহে একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে আগামীকাল থেকে বাগদাদে সোলাইমানি ও তার সহযোগীদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দুদেশের যৌথ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বহুবার বলেছে, যতদিন পর্যন্ত শাস্তির জন্য এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তদন্তের স্বার্থে ইরাক সরকারের সহযোগিতা খুবই জরুরি। কেননা ওই হত্যাকাণ্ড মার্কিন সেনাদের হাতে ইরাকের মাটিতে সংঘটিত হয়েছে। বাগদাদে ইরান ও ইরাকের যৌথ তদন্ত কমিটির প্রথম বিবৃতিতে বলা হয়েছিল দুই দেশ জেনারেল সোলাইমানি ও ইরাকের জনপ্রিয় হাশদ আশ শাবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল মোহান্দেস ও তাদের অন্য সহযোগীদের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির জন্য পাঁচ ধারা সম্বলিত নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এসব নীতিমালায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে কর্মপন্থা ঠিক করা হয়। 

ইরানের মানবাধিকার পরিষদের প্রধান কাজেম গরিবাবাদি বলেছেন, সোলাইমানি হত্যার তদন্তের জন্য তেহরান ৩০০ পৃষ্ঠার বেশি প্রমাণপত্র ইরাক সরকারের হাতে তুলে ধরেছে। এবারের বৈঠকে এসব নিয়ে কথাবার্তা হবে। #      

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।