ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ ১৬:৩৫ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২০ ফেব্রুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বাংলাদেশের কাছে টাকার বস্তা নিয়ে এসেছে চীন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • সব অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে হবে-বাধ্যতামূলক হচ্ছে-ইত্তেফাক
  • ফেসবুক-ইউটিউব নিয়ন্ত্রণে ভারতের পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ-প্রথম আলো
  • একুশে পদক পেলেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক -যুগান্তর
  • অনলাইনে ফাঁদ ব্ল্যাকমেইলের শিকার নারী-মানবজমিন
  • আদালতে যেতে পারেন চাকরিচ্যুত দুদক কর্মকর্তা-কালের কণ্ঠ

ভারতের শিরোনাম:

  • রামলালা আছেন। যোগী আদিত্যনাথ আছেন। বুলডোজার আছে। শুধু সে অযোধ্যা আর নেই। ‘অযোধ্যাজি’ হয়ে গিয়েছেন।–সংবাদ প্রতিদিন
  • চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, মিউনিখে বললেন বিদেশমন্ত্রী -আজকাল 
  • দোকান ভাঙে ভাঙুক, রামলালার মন্দির তো হবে! বুলডোজার যোগীর পাশেই আছে অযোধ্যা-আনন্দবাজার পত্রিকা

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. শরীফ উদ্দিনকে দুদকের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে একটি বাম সংগঠন। এছাড়া, তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। ঘটনাগুলোকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

২. ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন রাশিয়া ইউরোপে সর্ববৃহৎ যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আপনার কি মনে হয়?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

সব অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে হবে-ইত্তেফাক

দেশের সব সাংবিধানিক কর্মচারী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব অনুষ্ঠানে জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, দেশের সব সাংবিধানিক কর্মচারী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব অনুষ্ঠানে জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ড. বশির আহমেদ ও ২০১২ সালে আব্দুল বাতেন ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করার জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৯ মার্চ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুন আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করার রায় দেয়। তিন মাসের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা থাকলেও তা হয়নি।

অনলাইনে ফাঁদ ব্ল্যাকমেইলের শিকার নারী-মানবজমিন

রুমানা নিশা। দুই বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় নোমানের সঙ্গে। গড়ে ওঠে সম্পর্ক। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। বছর ঘুরতেই নিশা জানতে পারেন নোমানের এমন একাধিক সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয় মনোমালিন্য। নোমান সবাইকে ছেড়ে নিশার সঙ্গেই থাকবে- এমন প্রতিশ্রুতি দেয়। নিশা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালো নোমানের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া তার ছবিগুলো। নোমান সেগুলোকে পুঁজি করে নিশাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। ভয়ে নিশা সেইসব ছবি ডিলিট করতে অনুরোধ করেন। নোমান শেষবারের মতো দেখা করতে বলে নিশাকে। দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন নিশা। তখন বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে নোমান। ঘটনার দুইদিন পর নিশা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান একটি ফেসবুক আইডি থেকে তার নামে বাজে কথা ও ছবি পোস্ট করা হয়েছে। একই আইডি থেকে আত্মীয়-স্বজনের ইনবক্সেও পাঠানো হয়েছে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও। শেষমেশ নিশা আশ্রয় নেন আইনের।

সায়মা,মুনিয়াসহ আরও অনেকের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এভাবে ফাঁদে পড়ে ঘরে ঘরে বহু নারী-পুরুষ এমন দুর্ভোগ আর যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। অনলাইনে এমন নিগৃহের ঘটনা একটি ব্যাধির মতো সংক্রমিত হচ্ছে। পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুকে ঘনিষ্ঠতা, অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ারিংয়ে বাড়ছে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি, আপত্তিকর ভিডিও পাঠানো হচ্ছে। আজেবাজে মেসেজ পাঠানো বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করা হলে পরে সেগুলোকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে অশ্লীল ছবিতে রূপান্তর করে হয়রানির শিকার করা হচ্ছে। পুলিশের এই সেলে ভুক্তভোগীর ছবি বা তথ্য ব্যবহার করে বেনামে আইডি খুলে ছবি, ভিডিও বা তথ্য প্রচার বা মেসেজ করা ফেইক আইডি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ এসেছে ৬৩৭৫, আইডি হ্যাকের অভিযোগ ১৫৫৪টি, পূর্ব পরিচয় বা সম্পর্কের জের ধরে ছবি, ভিডিও বা তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সুবিধা বা টাকা দাবি করে ব্ল্যাকমেইলের সংখ্যা ২২৩৫টি, মোবাইলে হ্যারেসমেন্টের অভিযোগ ১৬৬৬টি, বিভিন্ন মাধ্যমে আপত্তিকর কন্টেন্ট পাঠানোর অভিযোগ ১২১৯টি। এ ছাড়া অন্যান্য অভিযোগ ১৬৬৪টি। এ পর্যন্ত সর্বমোট অভিযোগের সংখ্যা ১৪৭১৩। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্টরা জানান, এমন প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক নারী লোকলজ্জায় আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিচ্ছেন। আবার অনেকেই সমাজে নানাভাবে অপমান-অপদস্থ হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ভুক্তভোগী নারীরা এসব বিষয়ে প্রায়ই অভিযোগ করছেন। অভিযোগের সূত্র ধরে তারা এ ধরনের প্রতারকদের আইনের আওতায় আনছেন।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, দেশে সাইবার বুলিংয়ের পেছনে দুইটি উদ্দেশ্যে থাকে। একটি হলো অনেকদিন ধরে সম্পর্ক ছিল, কোনো ভুল বোঝাবুঝির জন্য সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। তখন ক্ষোভ থেকে ও কষ্ট দেয়ার জন্য এই কাজগুলো ঘটে থাকে। একই সঙ্গে ব্যক্তিকে সম্মানহানি করা, সমাজের চোখে ছোট করা। আরেকটি হলো- প্রতারক চক্ররা অল্প দিনে সম্পর্ক তৈরি করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। সাইবার বুলিংয়ে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি শিকার হচ্ছে। এই ধরনের ছবি প্রকাশ হলে সমাজের চোখে একজন পুরুষের চেয়ে নারীকে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. তানিয়া রহমান বলেন, আমরা যত বৈজ্ঞানিক সুবিধা গ্রহণ করবো তার পজেটিভ কিছুর পাশাপাশি নেগেটিভ কিছু থাকবেই। বিভিন্ন সুবিধা ভোগের পাশাপাশি অসুবিধা যেগুলো তার একটি হলো সাইবার বুলিং। সাইবার বুলিংয়ের ঘটনায় নিজে শেষ হয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। এটি অনেক বেশি হচ্ছে। এই অপরাধগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। বন্ধ না করে আমরা নিজেরা যদি আত্মাহুতি দেই এটাতো কোনো সমাধান না। আমি যদি এই ধরনের কোনো কর্ম করেও থাকি সেটা আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা। সমাজ এবং আইনের দৃষ্টিতে আমি যদি অপরাধী না হই এবং আমার বিরুদ্ধে যারা এগুলো বলবে আমি বরং তাদের বিরুদ্ধে লড়বো।

বাংলাদেশের কাছে টাকার বস্তা নিয়ে এসেছে চীন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী-বাংলাদেশ প্রতিদিন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কাছে টাকার বস্তা নিয়ে এসেছে চীন। তাদের ঋণের প্রস্তাব আক্রমণাত্মক ও সাশ্রয়ী। বাংলাদেশের উন্নয়নে জনগণের প্রত্যাশা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন। সে কারণে এখানে আর্থিক তহবিলও প্রয়োজন। আমরা প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি থেকে অধিকাংশ ঋণ নিয়েছি। জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রয়োজনে আমরা আরও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি। সে জন্য আমরা কী করতে পারি। কোনো পথ খোলা আছে কী না।’

শনিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। এক প্যানেল আলোচনায় ড. মোমেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নয়ন করছে। এখানে মানুষের মধ্যে উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষাও দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের জীবনমান উন্নয়নে দরকার আরও অবকাঠামো উন্নয়ন। তবে, আমাদের কাছে অনেক টাকা নেই। আমাদের প্রযুক্তিও নেই। সে কারণে আমরা জনগণের চাহিদা পূরণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পাশে অনেক দেশই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। বিশেষ করে জাপান বড় আকারে বিনিয়োগ করেছে। ভারতও আমাদের ঋণ দিয়েছে। আমি এই দুই দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আরও বেশি অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের আরও বেশি তহবিল প্রয়োজন।’

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, মিউনিখে বললেন বিদেশমন্ত্রী-আজকাল

চীন সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘনের পর থেকে তাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শনিবার এ কথা জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jayshankar)। তিনি এও বলেছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি যেমন থাকবে, সেই অনুযায়ী থাকবে সম্পর্কের পরিস্থিতিও। 

মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স, ২০২২-এর প্যানেল ডিসকাশনে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, চীনকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে ভারত। ’৪৫ বছর ধরে শান্তি ছিল, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ছিল স্থিতিশীল। ১৯৭৫ সাল থেকে সীমান্তে কোনও সেনার মৃত্যু হয়নি। কিন্তু সেই পরিস্থিতি পালটে গেছে।’বিদেশমন্ত্রী বললেন, ‘আমাদের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল যে সীমান্তে সেনা জড়ো করবে না চীন। আমরা সীমান্ত বলছি কিন্তু ওটা আসলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। চীনারা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তাই অবশ্যই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’

মাঝেমধ্যেই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে, লাদাখ এবং অরুণাচল সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চীন। তৈরি করছে চওড়া রাস্তা, ব্রিজ এমনকী এ যাবত বেশ কয়েকটি গ্রামেরও পত্তন করে ফেলেছে তারা বলে অভিযোগ সাউথ ব্লকের। বাধ্য হয়েই সীমান্তে তাই শক্তিবৃদ্ধি করছে ভারতও। মিউনিখের কনফারেন্সে সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর।

দোকান ভাঙে ভাঙুক, রামলালার মন্দির তো হবে! বুলডোজার যোগীর পাশেই আছে অযোধ্যা-আনন্দবাজার পত্রিকা

যোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রামমন্দিরে যাওয়ার রাস্তা বানাতে বুলডোজার নামাবেন। যে কারণে অযোধ্যার অলিগলিতে তাঁর নামই হয়ে গিয়েছে ‘বুলডোজার যোগী’। যোগীর বুলডোজারে যাঁদের দোকান গুঁড়িয়ে যাবে, তাঁদের অবশ্য কোনও হেলদোল নেই। বলছেন, ‘‘দোকান ভাঙে ভাঙুক! রামলালার মন্দির তো হবে।’

রামলালা আছেন। যোগী আদিত্যনাথ আছেন। বুলডোজার আছে। শুধু সে অযোধ্যা আর নেই। ‘অযোধ্যাজি’ হয়ে গিয়েছেন। 

ফের সংঘাতে রাজ্য ও রাজ্যপাল। বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ ফেরত পাঠালেন ধনকড়। অনিশ্চিত অধিবেশনের ভাগ্য।-সংবাদ প্রতিদিন

বিধানসভা অধিবেশন শুরু নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা। আবারও সংঘাতে রাজ্য ও রাজ্যপাল। আগামী ৭ মার্চ থেকে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা শুরু ছিল। কিন্তু এদিন অধিবেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপারিশ ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইট করে তিনি জানান, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে সুপারিশ পাঠানো হয়নি। তাই তা ফেরত পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন রাজ্যপাল। ফলে বিষয়টি নিয়ে আরও জটিলতা বাড়ল।নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপালকেই এবার বিধানসভা অধিবেশনের ডাক দিতে হবে। কিন্তু তা হওয়ায় ৭ তারিখ থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেল।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২০