এপ্রিল ১১, ২০২৩ ১৪:৫৪ Asia/Dhaka

পবিত্র রমজানের তিনভাগের দুইভাগই বিগত হল। রমজানের অশেষ কল্যাণ থেকে কতটুকু অর্জন করতে পারলাম তা ভেবে দেখা দরকার।

আজকের দিনটি ছিল পবিত্র রমজানের বিশ তারিখ। সন্ধ্যার পরই শুরু হয়েছে ২১ রমজান। এই রাতকে ক্বদরের অন্যতম  রাত্রি বলেও মনে করেন অনেকে। ৪০ হিজরির এই রাতে শহীদ হন বিশ্ববিশ্রুত মহামানব ও ইসলামের প্রবাদপুরুষ আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ)। এ উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি গভীর শোক ও সমবেদনা। ক্বদরের রাতের ইবাদত এক হাজার মাসের ইবাদতের সমতুল্য। শবে ক্বদরে দোয়া অন্য সময়ের চেয়ে বেশি কবুল হয়। এ রাতের পুরো অংশেই জেগে থেকে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত, নফল-নামাজ আদায়, ক্বাজা নামাজ আদায়, মহানবী (সা) ও আহলে বাইতকে ওয়াসিলা ধরে জীবনের সব পাপ আর ভুল-ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং  মজলুম জনগোষ্ঠীসহ  গোটা মানবজাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন ধার্মিক মুসলমানরা। জিয়ারতে আশুরা ও ওয়ারিস, জিয়ারতে আমিনুল্লাহ, দুআয়ে ইফতিতাহ, দুআ কুমায়িল, দুয়ায়ে জউশান কাবির ও জউশান সাগির ইত্যাদিও পড়ার ওপর জোর দেয়া হয়। এ ছাড়াও কবর জিয়ারত এবং দান-খয়রাতও শবে ক্বদরের অন্যতম নেক-আমল।  

অস্তিত্ব জগতের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ মহামানব এবং ন্যায়বিচার ও বীরত্বের প্রবাদপুরুষ মুমিনদের নেতা হযরত আলীর জন্ম হয়েছিল হিজরি ২৩ সনের ১৩ই রজব পবিত্র কাবা ঘরে।  একুশে রমজান পৃথিবী হারিয়েছিল বিশ্বনবী-(সা)’র শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ও শ্রেষ্ঠ অনুসারীকে, হারিয়েছিল বিশ্বনবী (সা)’র জ্ঞান-নগরীর মহা-তোরণকে, হারিয়েছিল রাসূল (সা)’র পর সবচেয়ে দয়ালু ও উদার আত্মার অধিকারী মানুষ এবং হেদায়াতের উজ্জ্বলতম প্রদীপকে। সেদিন মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত দুঃসময়ে হারিয়েছিল সাধনা ও আধ্যাত্মিক পূর্ণতার সর্বোত্তম আদর্শকে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা)’র নিজ হাতে গড়ে তোলা ইসলামের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি ও সবচেয়ে আপোষহীন নেতাকে। আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলীর শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের স্বর্গীয় আলোকোজ্জ্বল প্রভা যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পরতে পরতে আদর্শ মুমিনের কর্মতৎপরতার গভীরে অতুলনীয় ও ক্রমবর্ধমান প্রভাব সৃষ্টি করে চলেছে।

হযরত আলী ছিলেন যুবকদের জন্য বীরত্ব ও সাহসিকতার আদর্শ, সরকার-প্রধানদের জন্য ন্যায়বিচারের আদর্শ। আর ইবাদত, খোদা-প্রেম ও ভারসাম্যপূর্ণ অনাড়ম্বর জীবনের জন্য সব মুমিন মুসলমানেরই আদর্শ। তাঁর মুক্তিকামিতা বিশ্বের সব মুক্তিকামীর আদর্শ এবং প্রজ্ঞাময় বক্তব্য ও চিরস্মরণীয় উপদেশগুলো আলেম, বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের জন্য আদর্শ।

আলী (আ) ছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব নদী-দখলকারী শত্রুরা যার বাহিনীর জন্য নদীর পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করলে সেই শত্রুদের পরাজিত করার পরও তিনি ওই নদীর পানি সেইসব শত্রুর জন্য নিষিদ্ধ করেননি। জালিমদের বিরুদ্ধে আলী (আ) সবচেয়ে কঠোর হলেও তিনি ব্যক্তিগত ক্রোধের বশে নয় বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাদের ওপর আঘাত হানতেন।

সিফফিনের যুদ্ধের প্রাক্কালে উভয়পক্ষের লোকক্ষয় এড়ানো ও বিদ্রোহীদের সুপথে আনার জন্য আলী (আ) এত বেশী অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছিলেন যে, সে সময় শত্রুরা এ প্রচারণা চালিয়েছিল যে মহাবীর আলী মৃত্যুকে ভয় পান! অথচ শাহাদত ছিল তাঁর কাছে এতটা প্রিয় যতটা প্রিয় শিশুর কাছে মাতৃস্তন। তিনি খিলাফত লাভের পর সব সাহাবির জন্য সরকার-প্রদত্ত ভাতা সমান করে দিয়ে রাসূল (সা) সুন্নাত পুন:প্রবর্তন করেছিলেন। মহান আলী সর্বত্র প্রকৃত ইসলাম ও ন্যায়-বিচার কায়েমের তথা সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলেই সুবিধাবাদী, মুনাফিক এবং স্বল্প-জ্ঞানী ধর্মান্ধ ও বিভ্রান্ত শ্রেণীগুলো তাঁর শত্রুতে পরিণত হয়। সত্যের পথে অবিচল থাকলে অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নেতা তাঁকে ত্যাগ করবেন বলে তিনি জানতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি ন্যায়-বিচারের পথ ত্যাগ করেননি। ফলে শাহাদতের উচ্চ মর্যাদা অর্জন করেছেন হযরত আলী (আ)।

একদল সরলমনা ও ধর্মান্ধ ব্যক্তি দুনিয়া-পূজারি ও ক্ষমতালোভীদের প্রতারণার শিকার হয়ে হযরত আলীর মতো নিষ্পাপ মুমিনকেও কাফের বলে ঘোষণা দেয়! ইতিহাসে এই শ্রেণী খারেজী বলে খ্যাত। এই খারেজীদেরই অন্ধ অনুসারী ইবনে মুলজেম আল আশআসসহ আলী’র চরম বিদ্বেষী কয়েক ব্যক্তির ষড়যন্ত্রে শরীক হয়। ইবনে মুলজেম ১৯ শে রমজানের ফজরের নামাজের সময় সিজদারত অবস্থায় হযরত আলীর শির মুবারকে বিষাক্ত তরবারির আঘাত হানে। এ আঘাতে আহত আমীরুল মুমিনীন ২১শে রমজানের রাতে শাহাদত বরণ করেন এবং শেষ হয়ে যায় তাঁর চার বছর ও নয় মাসের খেলাফত। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ ।

হযরত আলী ছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব যার সম্পর্কে রাসূলে পাক (সা) বলেছেন, মুসার সাথে হারুনের যে সম্পর্ক তোমার সাথে আমার সেই সম্পর্ক, শুধু পার্থক্য হল হারুন নবী ছিলেন, তুমি নবী নও। রাসূল (সা) বলেছেন, “আমি জ্ঞানের নগরী, আলী তার দরজা, যে কেউ আমার জ্ঞানের মহানগরীতে প্রবেশ করতে চায় তাকে এ দরজা দিয়েই আসতে হবে”।

মহানবী (সা) আরও বলেছেন, হে আম্মার! যদি দেখ সমস্ত মানুষ একদিকে চলে গেছে, কিন্তু আলী চলে গেছে অন্য দিকে, তবুও আলীকে অনুসরণ কর, কারণ, সে তোমাকে ধ্বংসের দিকে নেবে না।

বিশ্বনবী (সা) আরও বলেছেন, আমি আলী থেকে, আর আলী আমার থেকে, যা কিছু আলীকে কষ্ট দেয়, তা আমাকে কষ্ট দেয়, আর যা কিছু আমাকে কষ্ট দেয় তা আল্লাহকে কষ্ট দেয়। হে আলী! ঈমানদার কখনও তোমার শত্রু হবে না এবং মুনাফেকরা কখনও তোমাকে ভালবাসবে না।-অনেক সাহাবী এরই ভিত্তিতে মুনাফিক শনাক্ত করতেন।  মহানবীর স্ত্রী আয়শা বিনতে আবুবকর হযরত আলীর শাহাদতের খবর শুনে বলেছিলেন, হে রাসূল! তোমার সবচেয়ে প্রিয়পাত্র শাহাদত বরণ করেছেন। আজ এমন এক ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন যিনি ছিলেন রাসূল (সা)’র পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। (সূত্র: মৃত্যুর দুয়ারে মানবতা: লেখক ভারতের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ)

আর এইসব বাণী থেকে এটা স্পষ্ট যে আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (আ.) ছিলেন বিশ্বনবী (সা)’র পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব।

হযরত আলী (রা)’র আকাশ-ছোঁয়া বীরত্ব ও মহত্ত্বে অমুসলিম পণ্ডিতরাও অভিভূত ও হতবাক হয়েছেন। আর ডি ওসবোর্ন বলেছেন, আলী (আ.) ছিলেন মুসলমানদের ইতিহাসের সর্বোত্তম আত্মার অধিকারী সর্বোত্তম ‍ব্যক্তি।

ওয়াশিংটন আরভিং বলেছেন, “সব ধরনের নীচতা ও কৃত্রিমতা বা মিথ্যার বিরুদ্ধে আলীর ছিল মহৎ সমালোচনা এবং আত্মস্বার্থ-কেন্দ্রীক সব ধরনের কূটচাল থেকে তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন।

ঐতিহাসিক মাসুদির মতে, রাসূল (সা)’র চরিত্রের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল যার ছিল তিনি হলেন হযরত আলী।

শাহাদত-প্রেমিক আলী যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত, তাঁর সঙ্গীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সবাই কাঁদছে, চারিদিকে ক্রন্দনের শব্দ, কিন্তু আলীর মুখ তখনও হাস্যোজ্জ্বল। তিনি বলছেন, “আল্লাহর শপথ! আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম কি হতে পারে যে, ইবাদতরত অবস্থায় শহীদ হব?

আলী (আ) ইমাম হাসানকে বলেছিলেন, “বাবা হাসান! আমার মৃত্যুর পর যদি চাও আমার হত্যাকারীকে মুক্তি দেবে তাহলে মুক্তি দিও, যদি চাও কিসাস গ্রহণ করবে তাহলে লক্ষ্য রাখবে, সে তোমার পিতাকে একটি আঘাত করেছে, তাকেও একটি আঘাত করবে। যদি তাতে মৃত্যুবরণ করে তো করল, নতুবা ছেড়ে দেবে।

হযরত আলী নিজেকে সব সময় জনগণের সেবক বলে মনে করতেন এবং সব সময় অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। দ্বিতীয় রাষ্ট্রপ্রধান ওমর ইবনে খাত্তাব বলেছেন, আলী ইবনে আবি তালিবের মতো আরেকজনকে জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নারীকূলের কারো নেই, আলী না থাকলে ওমর ধ্বংস হয়ে যেত।

হযরত ইবনে আব্বাস বলেছেন, 'আলীর চারটি গুণ ছিল যা অন্য কারো ছিল না। আরব ও অনারবের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি রাসূলের সাথে সালাত আদায় করেছেন। প্রত্যেক জিহাদেই তাঁর হাতে ঝাণ্ডা থাকতো। লোকেরা যখন রাসূলের কাছ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেত তখনও আলী তাঁর পাশেই থাকতেন। আলীই রাসূল (সা)কে শেষ গোসল দিয়েছিলেন এবং তাঁকে কবরে দাফন করেছিলেন।'

জীরার ইবনে হামজা তাঁর প্রিয় নেতা আলী সম্পর্কে আমির মুয়াবিয়ার কাছে বলেছিলেন, “আলীর ব্যক্তিত্ব ছিল সীমাহীন, তিনি ক্ষমতায় ছিলেন দোর্দণ্ড, তাঁর বক্তব্য ছিল সিদ্ধান্তমূলক, তাঁর বিচার ছিল ন্যায়ভিত্তিক, সব বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ছিল, তাঁর প্রতিটি আচরণে প্রজ্ঞা প্রকাশিত হত। তিনি মোটা বা সাদামাটা খাদ্য পছন্দ করতেন এবং অল্প দামের পোশাক পছন্দ করতেন। আল্লাহর কসম, তিনি আমাদের একজন হিসেবে আমাদের মাঝে ছিলেন, আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতেন, আমাদের সকল অনুরোধ রক্ষা করতেন। তাঁর প্রতি সশ্রদ্ধ অনুভূতি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে সম্বোধন করে কিছু বলতে ও প্রথমে কথা বলতে আমরা ভয় পেতাম না। তাঁর হাসিতে মুক্তা ছড়িয়ে পড়তো। তিনি ধার্মিকদের খুব সম্মান করতেন। অভাবগ্রস্তের প্রতি খুবই দয়ালু ছিলেন। এতিম, নিকট আত্মীয় ও অন্নহীনকে খাওয়াতেন। তিনি বস্ত্রহীনে বস্ত্র দিতেন ও অক্ষম ব্যক্তিকে সাহায্য করতেন। তিনি দুনিয়া ও এর চাকচিক্যকে ঘৃণা করতেন। আমি আলী ইবনে আবি তালিবকে গভীর রাতে বহুবার এ অবস্থায় মসজিদে দেখেছি যে তিনি নিজ দাড়ি ধরে দাঁড়িয়ে এমনভাবে আর্তনাদ করতেন যেন সাপে কামড় খাওয়া মানুষ এবং শোকাহত লোকের মতো রোদন করে বলতেন, হে দুনিয়া, ওহে দুনিয়া, আমার কাছ থেকে দূর হও! আমাকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করো না!” …

 এরপর জীরার বলেন, আলীর অনুপস্থিতিতে আমি সেই মহিলার মতো শোকাহত যার সন্তানকে তার কোলে রেখে কেটে ফেলা হয়েছে। সবশেষে হযরত আলীর (আঃ)’র কয়েকটি অমর ও অমূল্য বাণী তুলে ধরছিঃ

-নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে অনন্তর বলতে শুনেছি যে, কোন উম্মতই সম্মান ও মর্যাদার পবিত্র স্থানে পৌঁছতে পারবে না যতক্ষণ না তাদের ক্ষমতাশীলদের হাত থেকে দুর্বলদের অধিকার আদায় করবে কোন দ্বিধা ও শঙ্কা ছাড়াই। ’ (নাহজুল বালাগাহ্, পত্র নং ৫৩)

-প্রকৃত জীবন হচ্ছে মৃত্যুবরণের মাধ্যমে জয়ী হওয়া। আর প্রকৃত মৃত্যু হলো বেঁচে থেকেও নিকৃষ্ট ব্যক্তির অধীনে থাকা।

- জেনে রাখ, নিশ্চয়ই দারিদ্র্য একটি বড় বিপদ এবং দারিদ্র্য হতে মন্দ শারীরিক অসুস্থতা আর শারীরিক অসুস্থতা হতে খারাপ ও কঠিন হলো অন্তরের অসুস্থতা।

- প্রত্যেক বক্তব্য বা কথা যাতে আল্লাহর স্মরণ নেই তা হল অর্থহীনতা বা অন্তঃসারশূন্যতা, আর যে নীরবতার মধ্যে আল্লাহ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই তা হচ্ছে উদাসীনতা বা মনোযোগহীনতা এবং যে চিন্তার মধ্যে আল্লাহর প্রতি দৃষ্টি নেই তা হচ্ছে অনর্থক সময় নষ্ট করা।

*বাহ্যিক অলংকার ও পোশাক-পরিচ্ছদ সৌন্দর্য নয়, সৌন্দর্য হল-জ্ঞান ও সভ্যতা। যার পিতা-মাতা মারা গেছে সে এতীম নয়, প্রকৃত এতীম সে যার মধ্যে জ্ঞান ও বিবেক নেই।

*সত্যকে আঁকড়ে ধর, যদি তাতে তোমার ক্ষতিও হয় এবং মিথ্যাকে বর্জন কর যদি মিথ্যা দিয়ে তোমার লাভও হয়। আর এটাই হল ঈমান।

সবাইকে আবারও জানাচ্ছি গভীর শোক ও সমবেদন।#

এবারে শোনা যাক অর্থসহ ২০ তম রোজার দোয়া

পার্সটুডে/এমএএইচ/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ