Pars Today
গ্রিসে অনুষ্ঠেয় ন্যাটো সামরিক জোটের মহড়ায় তুরস্ক অংশ নেবে না। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম গতকাল (শনিবার) এ খবর দিয়েছে।
গ্রিস সীমান্তবর্তী তুরস্কের ছোট শহর ইপসালা থেকে অভিবাসন প্রত্যাশী ১২ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির সবাই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে মারা গেছে। এই নিয়ে তুরস্ক এবং গ্রিসের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প থেকে গোপনে সরে গেছে আমেরিকা। ভূমধ্যসাগর থেকে গ্যাস উত্তোলন করে ইসরাইল পাইপ লাইনের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
প্রতিবেশী গ্রীসের ‘রাফাল’ যুদ্ধবিমান প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে তুরস্ক কাতারের একইধরনের যুদ্ধবিমান ব্যবহারের কৌশল হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে আঙ্কারা কাতারের সঙ্গে সামরিক প্রশিক্ষণ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
তুরস্ক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, গ্রীস সম্প্রতি ফ্রান্সের কাছ থেকে যুদ্ধজাহাজ কেনার যে চুক্তি করেছে তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে। একইসঙ্গে চুক্তিটি আঙ্কারাকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
সাইপ্রাস এলাকার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি এ বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
চলতি গ্রীষ্মকালে আমেরিকা এবং গ্রিস দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা চুক্তি নবায়ন করতে পারে। এর ফলে ভূমধ্যসাগর এলাকায় আমেরিকা সামরিক অভিযান বিস্তৃত করতে পারবে। গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিকোস পানাজিওতোপোলোস এ কথা জানিয়েছেন।
গ্রিসে অনুষ্ঠানরত সামরিক মহড়ায় যোগ দিচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত আগস্ট মাসে কথিত শান্তি চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
তুরস্কের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির মুখপাত্র ওমর চেলিক বলেছেন, গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ডেন্ডিয়াসের সাম্প্রতিক বক্তব্য তুরস্কের জন্য অবমাননাকর। এর মাধ্যমে তিনি আঙ্কারাকে অপমান করেছেন।
আজিয়ান সাগরের আকাশে তুরস্ক ও গ্রিসের জঙ্গিবিমানের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।