ডিসেম্বর ০১, ২০২১ ১৮:০৯ Asia/Dhaka
  • 'ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে'

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এক শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রশ্ন তুলেছেন এটি কী দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত ঘটনা? তবে এখন ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন  দুর্ঘটনার  ১২ মিনিটে নিরাপদ সড়ক চাইয়ের অ্যাডমিন কীভাবে সেখানে পৌঁছালেন? বাঁশের কেল্লা কীভাবে ১৫ মিনিটের মধ্যে খবর পেল? ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে কীভাবে ১০ থেকে ১২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো? ছাত্ররা তো আগুন দেয়নি। কারণ, ঘটনার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে এত ছাত্র সেখানে পৌঁছায়নি। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ফেসবুক পেজে লাইভ দিয়েছে, তারা ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই অবহিত ছিল কি না? হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত পরশু রাতের ঘটনা থেকে তা স্পষ্ট। ছাত্রদের গায়ে কালিমা লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

গত সোমবার রাতে রামপুরায় বাসের চাপায় মারা যায় মাইনুদ্দিন ইসলাম (১৭)। সে রামপুরার একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলের অপেক্ষায় ছিল। মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ওই রাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ১২টি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

মায়ের মামলা দায়ের

মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় তার মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে অনাবিল পরিবহনের বাসচালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলায় চালকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়। অন্যদিকে, মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’র নামে পৃথক দু’টি  মামলা রুজু হয়েছে।  এ মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত

নিরাপদ সড়কের ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন  আন্দোলনকারী একদল শিক্ষার্থী। রামপুরা ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করে দেখছেন। তবে তাঁরা সড়ক অবরোধ করেননি। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে সংশ্লিষ্ট সড়ক দিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। ফলে সড়কের উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয় পরিবহন মালিক সমিতি। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিরাপদ সড়কের জন্য তাঁদের ৯ দফার মধ্যে একটি দাবি হচ্ছে অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করা। বাকি দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না। আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ ছাড়া অর্ধেক ভাড়ার যে ঘোষণা, সেটা কেবল রাজধানীর জন্য। সারা দেশে কার্যকর করার দাবিও রয়েছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/বাবুল আখতার/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ