আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i104062-আন্তর্জাতিক_মাতৃভাষা_দিবসে_সর্বোচ্চ_নিরাপত্তা_ব্যবস্থা_গ্রহণ_করা_হয়েছে_ডিএমপি_কমিশনার
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য ছয়স্তরবিশিষ্ট সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কর্তৃপক্ষ। আজ (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে কমিশনার ডিএমপি মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
(last modified 2025-09-26T18:07:30+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ ১৮:০৪ Asia/Dhaka
  • সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ডিএমপি মোহা. শফিকুল ইসলাম
    সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ডিএমপি মোহা. শফিকুল ইসলাম

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য ছয়স্তরবিশিষ্ট সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কর্তৃপক্ষ। আজ (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে কমিশনার ডিএমপি মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

কী ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারকেন্দ্রিক চারদিকের রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। চেকপোস্টের ভেতরে ও বাইরে পুরো এলাকা সিসিটিভির অধীন থাকবে। পলাশি ক্রসিং থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের তল্লাশির পর ঢুকতে দেওয়া হবে। সেখানে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। এসব পরীক্ষা করেই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে কোনো ঝুঁকি নেই। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি।’

একুশে ফেব্রুয়ারি পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আশপাশ এলাকার আবাসিক হোটেল ও মেসে আজ শনিবার রাত থেকে তল্লাশি করা হবে। দুষ্কৃতকারীরা যেন নাশকতামূলক কোনো কাজ করতে পারে, সে জন্য এই তল্লাশি চালানো হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথা অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অথবা তাঁদের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে তাঁরা আসবেন ধরে নিয়েই নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর স্পিকারসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তারপর তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

বিদেশি কূটনৈতিকরাও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি করোনার কারণে সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেসব স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে, তা মেনে চলার অনুরোধ জানান।

এর আগে গতকাল (শুক্রবার) এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুইজন একসঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও মাস্ক পরিধান করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে টিএসসি ও বকশিবাজার, দোয়েল চত্ত্বর থেকে চারখারপুল এবং ফুলার রোড বন্ধ থাকবে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পলাশী মোড় থেকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে দিয়ে এসে জগন্নাথ হলের পেছন দিয়ে যেতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চানখারপুল ও দোয়েল চত্বর হয়ে বের হবেন শহীদ মিনারে আগতরা।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৯