মহামারীর পথে ডেঙ্গুর প্রকোপ
ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছেই, জনবল সংকটের অভিযোগ চিকিৎসকদের
বাংলাদেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে এক বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে গত বছর মে মাস পর্যন্ত কোনও মৃত্যু ছিল না। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৬৪ জন। কিন্তু চলতি বছর বিগত সকল বছরের রেকর্ড ভেঙেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর ২২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৩ শ ৫৯ জন। এবং মারা গেছেন ৪৯৩ জন।
২০২২ সাল থেকে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেশি। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু ছিল না। এছাড়া দেশে এক বছরে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয় ২০১৯ সালে। সে বছর মে মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মাত্র ২ জন। যাদের দুইজনেরই মৃত্যু হয় এপ্রিল মাসে। তবে এবার ডেঙ্গুর ভয়াবহ চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার নার্সরা।বেশিরভাগ হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যার তুলনায় জনবল কম বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত যখন লাখ ছাড়িয়েছে,তখন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে ক্রমাগতহারে। জ্বর, ব্যাথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই শতশত রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।সেই তুলনায় জনবল কম থাকায় চিকিৎসক ও নার্সদের দিনে রাতে বিরামহীন ছুটতে হচ্ছে বলে জানান ডিএনসিসি হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ড. লিলি সুলতানা।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক কর্ণেল এ কে এম জহিরুল হোসেন খান জানালেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশী হলে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা।রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে বলেও জানান কর্ণেল এ কে এম জহিরুল হোসেন খান।
এদিকে বিভিন্ন হাসপাতালে এখন পর্যন্ত স্যালাইন ও ঔষধ পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। আগামি সেপ্টেম্বর অক্টোবরে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে, আগাম প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। #
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/২৩