শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
(last modified Thu, 14 Dec 2023 04:59:10 GMT )
ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ ১০:৫৯ Asia/Dhaka
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টার দিকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৯৭১ সালের যেই অপশক্তি আমাদের জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও বাংলার মাটিতে ডালপালা বিস্তার করে আছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭১ সালের যেই অপশক্তি আমাদের জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও বাংলার মাটিতে ডালপালা বিস্তার করে আছে। এরাই আমাদের স্বাধীনতার শত্রু, এরাই আমাদের বিজয়ের শত্রু। তাই আজকে আমাদের অঙ্গীকার, বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত করতে হলে, বিএনপি জামায়াতের যে অপশক্তি, আমাদের স্বাধীনতার হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে, আমাদেরকে সাম্প্রদায়িকতার পথে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওযার যে ষড়যন্ত্র করছে, সন্ত্রাস করছে, এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখব।’

ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি হুমকি দিচ্ছে, দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। ৭১’র চেতনা আর আত্মশক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি কখনও পরাজিত হতে পারে না।’

১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. আলীম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেকে।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হচ্ছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৪