জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i149562-জামায়াত_নেতা_এটিএম_আজহারুল_কারাগার_থেকে_মুক্তি_পেলেন
জামায়াতে ইসলামীর নেতা, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ২৮, ২০২৫ ১০:৫৪ Asia/Dhaka
  • জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন

জামায়াতে ইসলামীর নেতা, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন।

আজ(বুধবার) সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে  মুক্তি পাওয়ার পর তিনি একথা বলেন। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি মুক্তি পান। আজহারুল ইসলাম বলেন, এখানে রাস্তা আটকে সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। জনগণের যেন ভোগান্তি না হয়। এখন আর কথা বলবো না, আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আপনার সঙ্গে বারবার দেখা হবে, বারবার কথা হবে।

ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) মো. জাহাঙ্গীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুরাইয়া আক্তার বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আজহারুল খালাস পান। এ-সংক্রান্ত নথি গতকাল রাতে তাদের কাছে আসে। নথি যাচাই–বাছাই শেষে আজ সকালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আজহারুলের আপিল মঞ্জুর করে অভিযোগ থেকে গতকাল তাকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আজহারুলের করা আপিল সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, আপিলকারীকে (আজহারুল) সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হলো। অন্য কোনো মামলা বা আইনি কার্যধারা না থাকলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। আজ সকালে আজহারুল কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে  ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছিলেন।

দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। এই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল।

এই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লিভ মঞ্জুর করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়। পরে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দেওয়া হয়। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল তাকে খালাস দিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ।#

পার্সটুডে/জিএআর/২৮