‘সরকারি কর্মচারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা’
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i79683-সরকারি_কর্মচারীরা_সামাজিক_যোগাযোগ_মাধ্যমের_অপব্যবহার_করলে_আইনানুগ_ব্যবস্থা’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্য করে কেউ নিজ অ্যাকাউন্টে ‘ক্ষতিকারক কনটেন্ট’ দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে দায়ী করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
মে ০৮, ২০২০ ০০:২৩ Asia/Dhaka
  • ‘সরকারি কর্মচারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্য করে কেউ নিজ অ্যাকাউন্টে ‘ক্ষতিকারক কনটেন্ট’ দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে দায়ী করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ অনুসরণ করা নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

উপসচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সই করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো ও এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) প্রণয়ন করে। নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিপত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের জন্য আটটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা যাবে না; জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো তথ্যউপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না; জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো পেশাকে হেয় করে কোনো পোস্ট দেওয়া যাবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে-কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থী কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে- এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা যাবে না; লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না; জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব তৈরি হতে পারে- এমন কোনো বিষয়ে লেখা, অডিও বা ভিডিও প্রকাশ বা শেয়ার করা যাবে না।

সরকারি চাকরিজীবীদের নির্দেশনা দিয়ে আরও বলা হয়েছে- অসত্য, ভিত্তিহীন ও অশ্লীল তথ্য প্রচার করা যাবে না; এবং অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা যাবে না।

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘কনটেন্ট’ ও ‘ফ্রেন্ড’ নির্বাচনে সতর্ক থাকতে এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ারিং থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে পরিপত্রে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা ব্যক্তি অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং সে ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে পরিপত্রে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।