বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়াল, মৃত ৭
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i79755-বাংলাদেশে_করোনা_আক্রান্ত_পুলিশ_সদস্যের_সংখ্যা_দেড়_হাজার_ছাড়াল_মৃত_৭
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শনিবার (৯ মে) পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫০৯ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) ৭০৮ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুলিশ সদরপ্তরসূত্র জানিয়েছে।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
মে ১০, ২০২০ ১৪:০৩ Asia/Dhaka
  • করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ
    করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শনিবার (৯ মে) পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫০৯ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) ৭০৮ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুলিশ সদরপ্তরসূত্র জানিয়েছে।

এ পর্যন্ত বাহিনীটির সাতজন সদস্য ভাইরাসের শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে সূত্র উল্লেখ করেছে। বর্তমানে ২ হাজার ৮৭০ পুলিশ সদস্য কোয়ারেন্টাইনে আছেন এবং ৪৬৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেই সাথে ১১০ পুলিশ সদস্য পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে সূত্র জানায়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও অন্যান্য সংস্থা যৌথভাবে কাজ করছে। এদিকে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাহিনীর সদস্যদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইমপালস হাসপাতাল ভাড়া করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের খোঁজ নিতে ‘বিশেষ টিম’

পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে কেবল করোনাভাইরাস আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।

এছাড়া ছয়টি বিভাগীয় শহরে হাসপাতাল ভাড়া করে সেখানেও প্রয়োজনীয় সব সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। আক্রান্ত সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি। পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইউনিট কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিয়ত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেড় হাজার পুলিশ সদস্যদের খোঁজ নিতে পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ‘বিশেষ টিম’। প্রাথমিকভাবে এই বিশেষ টিমগুলো করোনা আক্রান্ত প্রত্যেক সদস্যকে সরেজমিনে পরিদর্শন করবে, তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেবে, হাসপাতাল কিংবা আইসোলেশনে থাকাকালীন তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জেনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেবে। একইসঙ্গে পদমর্যাদা নির্বিশেষে প্রত্যেক সদস্য যাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান- সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।