করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা: এনবিআরের তৎপরতা শুরু, সাবরিনা ফের রিমান্ডে
-
সাহেদ (বামে) ও সাবরিনা (ডানে)
করোনার পরীক্ষার নামে প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের রাজস্ব পরিশোধ সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরিমধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর রাজস্ব সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন কর অঞ্চলে আয়কর নথি তলব করা হয়েছে।
এ তিনজনের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ এবং আয়-ব্যয়ের হিসাবে সমন্বয় আছে কিনা অথবা তারা বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন কিনা সে সব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করবে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা শাখা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।
এদিকে, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে ফের দুই দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান শুনানি শেষে পুলিশের করা রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
রিমান্ডের আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রভাব খাটিয়ে ‘স্বামী’ আরিফুল চৌধুরীর জেকেজি হেলথকেয়ারকে সরকারি কাজ পাইয়ে দিতেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী। ফলশ্রুতিতে করোনার এ দুর্যোগকালে জেকেজি হেলথকেয়ার প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘তিনদিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সাবরিনাকে দফায় দফায় মামলার বিষয়ে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি মামলা সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যা যাচাই-বাছাই চলছে। সাবরিনা তার সহযোগীদের নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের পজিটিভ ও নেগেটিভের জাল রিপোর্ট সরবরাহ করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিরীহ লোকদের টাকা আত্মসাৎ এবং অবহেলার মাধ্যমে রোগের সংক্রমণ বিস্তারে সহায়তা করেছে সাবরিনা।#
পার্সটুডে/এআরকে/এসএ/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।