সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে মহেশখালীতে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের
-
সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ( মাঝখানে)
কক্সবাজারে একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজরকে গুলি করে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে মহেশখালীর আদালতে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
মহেশখালীর বহুল আলোচিত আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন ভিকটিমের স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০)।
মামলায় ওসি প্রদীপ ছাড়াও পুলিশের ৫ জন সদস্যকে আসামী করা হয়েছে। তারা হলেন- এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিন। ‘প্রধান আসামী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এলাকার ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌসকে (৫৬)।
হত্যা মামলার বাদি হামিদা আক্তার জানান, গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফ আই আর’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন বিচারক। সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয় নি বলে জানান হামিদা আক্তার।
এদিকে, টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশসহ সাতজনকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো চার পুলিশ সদস্য হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, কামাল হোসেন ও সাফানুর করিম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি জামিল উল হক তিন আসামি নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াশকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা ছাত্র সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রা নামের আরেক ছাত্রীকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।#
পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।