নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে: বাংলাদেশ হাইকোর্ট
দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ করার মতো ঘটনার ভিডিও ধারণ এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হাইকোর্ট।
আজ (বৃহস্পতিবার) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলার শুনানিতে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেছে, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ীদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়ার হার কম। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হলে নির্যাতনের শিকার নারী এবং তাদের পরিবারে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এর সভাপতি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জিল মোরশেদ রেডিও তেহরানকে বলেন, নতুন ধরনের অপরাধের বেলায় দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের।
তিনি আরো বলেন, মোবাইল কোর্টের সাজার কম। যেসব অপরাধের সাজা বেশি দেয়ার বিধান আছে সেখানে কম সাজা প্রদান ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।
পর্নোগ্রাফি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মোবাইল কোর্টের সাজা দেয়ার এখতিয়ার নিয়ে আদালতেও প্রশ্ন তুলেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে একজন নারী তার আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়ি জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে আসেন বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন।
একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে ৪ অক্টোবর দুপুরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।#
পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।