সীমান্তে মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবার আশা করছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
-
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শিগগিরই দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ (শনিবার) চট্টগ্রামের সাতকানিয়াস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’ র প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের সীমান্তে যে কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) রয়েছে তা মেনে চললে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘনা ঘটে যায়। এ কারণে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ও বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়েও আলোচনা চলছে। শিগগিরই সীমান্তে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে।’
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এমনও কিছু বাড়ি আছে সীমান্তের খুব কাছাকাছি। অনেক সময় দেখা যায় সীমান্ত এলাকায় ওই লোকজনের সঙ্গে আত্মীক সম্পর্ক এবং সব সময় ভারতে যাতায়াত রয়েছে। এ কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।’
সীমান্ত অতিক্রম করে গরু নিয়ে আসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের গরুর খামারিরা যথেষ্ট উন্নতি করেছে। গত বছরে ভারত সফরের সময় সেখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলাদেশকে গরু দেয়া হবে না। তখনও তিনি তাতে সায় দিয়েছিলেন। বলোছিলেন, ভারত গরু না দিলে আমরাও আর গরু নিতে চাই না। কারণ আমাদের খামারিরা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। তারপরেও অতিলোভী দু'একজন ব্যবসায়ীরা সীমান্ত দিয়ে যেগুলো করে এজন্যই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। তবে এ বিষয়ে আমাদের বিজিবি কঠোর অবস্থায় রয়েছে।’
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা আরও তৎপর হয়েছি। সীমান্তে শুধু পাহারা চৌকির (বিওপি) সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি, সীমান্তে নজরদারী ব্যাবস্থা আমরা উন্নত করেছি। শুধু তাই নয় মোটরযান বলুন আর আধুনিক প্রযুক্তি বলুন সবই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং বিজিবিকে আরও সমৃদ্ধ করেছি। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে ধরনের চোরাচালান ছিল সেগুলো এখন আর নেই। সব ধরনের চোরাচালান আমরা শূন্যের কোঠায় নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
এসময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিজিবির ত্রি-মাত্রিক আধুনিকায়নের ফলে অনেক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব সীমান্ত পিলারের কাছে আগে যেতে পারতাম না যেগুলো পিলারের কাছে আমরা এখন নিয়মিত টহল দিতে পারছি। এখন অবৈধ সীমান্ত পারাপার আগের তুলনায় অনেক কমেছে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।