অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচ হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i95594-অস্ট্রেলিয়াকে_টানা_তিন_ম্যাচ_হারিয়ে_টি_টোয়েন্টি_সিরিজ_জিতল_বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচ হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো সংস্করণে প্রথমবারের মতো অজিদের সিরিজ হারাতে পারল টাইগাররা।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
আগস্ট ০৬, ২০২১ ২৩:৪৬ Asia/Dhaka
  • অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচ হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচ হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো সংস্করণে প্রথমবারের মতো অজিদের সিরিজ হারাতে পারল টাইগাররা।

আজ (শুক্রবার) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ পায় ১২৭ রানের পুঁজি। জবাবে ৪ উইকেটে ১১৭ সংগ্রহ নিয়ে ইনিংস শেষ করে অজিরা।

শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২২ রান। মেহেদি হাসানের প্রথম বলেই শর্ট পেয়ে ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন অ্যালেক্স কেয়ারি। পরের বলে আসে ১ রান। তৃতীয় বলে রান নেই। পরের বলটি নো বল করে বসে মেহেদি। আবার জমে ওঠে নাটকীয়তা। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ জয় করে ম্যাচ শেষ করেন মেহেদি। শেষ ওভার থেকে অস্ট্রেলিয়া নিতে পারে ১১ রান। বাংলাদেশ জিতে যায় ১০ রানে।

১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ম্যাথু ওয়েড ফিরে গেলে প্রতিবন্ধক হয়ে ছিলেন কেবল মিচেল মার্শ ও বেন ম্যাকডারমট। দুজনে মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন অস্ট্রেলিয়াকে। ৬৩ রান আসে এই জুটিতে। ম্যাকডারমটকে বোল্ড করে এই জুটি ভেঙেছেন সাকিব। অজি এই ব্যাটসম্যান ফেরেন ৩৫ রানে। নতুন নামা ময়সেস হেনরিকস অবশ্য তিন বলই টিকতে পারেন। তাকে শামীমের তালুবন্দি করান শরিফুল। ততক্ষণে মূল প্রতিবন্ধক মিচেল মার্শকে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। তাতে সফলতাও আসে ১৭.১ ওভারে। তাকে নাঈমের তালুবন্দি করেন শরিফুল। তাতে ৪৭ বলে ৫১ রানে ফিরে যান মার্শ। আদতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের স্বপ্ন চূর্ণ হয়ে যায় তখনই। শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারি (২০) ও ড্যান ক্রিস্টিয়ান মিলে (৭) রানের ব্যবধানই কমান মাত্র। অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে করতে পারে ১১৭ রান।

২৯ রানে দুটি উইকেট নেন শরিফুল। ১৯ রানে একটি নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও ২২ রানে সাকিব আল হাসান। কোনো উইকেট না পেলেও বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে মধ্যেও উজ্জ্বলতম নাম মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৯। তার স্পেলই ম্যাচে গড়ে দিয়েছে পার্থক্য।

বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড বইয়ে এলিস

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনারের বিদায়ে অবশ্য দ্রুতই কাটিয়ে ফেলেন দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। তাদের ৪৪ রানের জুটি ভালো কিছুর বার্তাই দেয়। সাকিব ১৭ বলে ২৬ রান করে  সাজঘরে ফেরেন। ভরসা হয়ে থেকে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

তিনি টিকে ছিলেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। প্রথম ইনিংসের পর তার ইনিংস নিয়ে ‘প্রশ্ন’ থাকতে পারে হয়তো। ম্যাচশেষে নিশ্চয়ই আর নেই। ৫৩ বলে ৫২ রানের ইনিংসটির গুরুত্বের কথা ম্যাচজয়ের পর বুঝতে পারার কথা।

গুরুত্ব অবশ্য ছিল দুইটি ছোট্ট ইনিংসেরও। দুটিই শেষ হয়েছে রান আউটে। ৫ বলে ১১ করা নুরুল হাসান সোহান আর ১৩ বলে ১৯ রান করা আফিফ হোসেন ‍দুজনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বাংলাদেশের ১২৭ রানের সংগ্রহে।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ইনিংসের শেষ তিন বলে মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মেহেদি হাসানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন অভিষিক্ত নাথান এলিস। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন এডাম জাম্পা এবং জস হ্যাজেলউড।

আজকের খেলায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।