বাংলাদেশে করোনাভাইরাস:
সংক্রমণের হার শতকরা পাঁচে না নামা সত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে: বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া
করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা প্ররতিষ্ঠানগুলি টানা সতের মাস বন্ধ থাকার পর আগামী রোববার ( ১২ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে।
এতদিন সরকার থেকে বলা হচ্ছিল সংক্রমণের হার শতকরা পাঁচে নামলে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে । তবে সরকারি হিসেবে সংক্রমণের হার এখনও আট শতাংশের উপড়ে থাকা অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে অনেকটা জনমতের চাপে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে।
দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন খোলার খবরে খুশী শিক্ষার্থী আর শিক্ষকগণ। তবে সবরকমের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশের জানিয়েছেন শিক্ষাকর্মকর্তা এবং প্রধান শিক্ষকগন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে সাজানো হচ্ছে শ্রেণীকক্ষ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথম সপ্তাহে থাকবেনা কোনও লেখাপড়ার চাপ। আনন্দঘন পরিবেশে খাপ খাইয়ে উঠতে তাদের জন্য বিশেষ কর্মসুচী থাকবে।দীর্ঘদিন শ্রেণি কক্ষের বাইরে থাকায় শিক্ষার্থীদের মনজগতে যে পরিবর্তন এসেছে তা বিবেচনায় রেখে তাকে আবার স্বাভাবিক স্খুল জীবনে ফিরিয়ে আনতে পাঠ্যসূচীর বাইরে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ কররার পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বন্ধ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত দেড় বছর শিশু-কিশোররা অনেকটা গৃহবন্দি। ঘরে বসেই কাটছে তাদের দিনরাত। কিছু স্কুল অনলাইনে ক্লাস চালালেও কার্যত শিশুরা বাইরের আলো-বাতাস পেয়েছে কম।
এ অবস্থায় শিশুদের প্রায় সবকিছুই টেলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেট আর ইনডোর গেমসকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। তাই স্কুল খুললেও শুরুতেই তাদের বেশি চাপ না দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোসা. আখতারা বানু গণমাধ্যমকে বলেছেন, শিশুরা দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকায় মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। নিজের অজান্তেই এমন অভ্যাস গড়ে তুলছে যা তাদের জন্য ক্ষতিকর। এই সমস্যা থেকে তাদেরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বেশ কষ্টকর হবে। #
পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।