সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে: পলকের দাবি
https://parstoday.ir/bn/news/event-i140004-সরকার_ইন্টারনেট_বন্ধ_করেনি_ইন্টারনেট_বন্ধ_হয়ে_গেছে_পলকের_দাবি
বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, সরকার দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
জুলাই ২৭, ২০২৪ ১৮:৫৪ Asia/Dhaka
  • জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক
    জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক

বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, সরকার দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীতে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে শুরু হওয়া সংঘর্ষের মধ্যে ১৮ জুলাই রাত পৌনে ৯টার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিন প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এর জন্য পূর্বে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি, পরিস্থিতি বুঝে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত সংযোগ দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে, আজ নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে জুনাইদ আহ্‌মেদ বললেন, "সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। দেশের ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজির) মধ্যে ১৮টির ডেটা এই তিনটি ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা। দুই দিন পর তাঁরা জানতে পেরেছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কাঁচপুরে সাবমেরিনের কিছু কেব্‌ল ওপরের দিকে ছিল, সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।"

১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। ব্রডব্যান্ড সংযোগ ২৩ জুলাই চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট এখনো বন্ধ। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল রোববার সকালে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক হবে। আলোচনা সাপেক্ষে রোববার-সোমবারের মধ্যে ফোর-জি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে তিন দিন সহিংসতা হয়েছে, ওই সময় দেশের চিহ্নিত কিছু জায়গা থেকে প্রায় এক লাখ সিম ঢাকা ও এর আশপাশে ঢুকেছে বলে দাবি করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন, ২০১১, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিল। ওই সময় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, রংপুরের মিঠাপুকুর, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরার ২০টি স্পটে রেড অ্যালার্ট জারি ছিল। কিন্তু ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই সেসব জায়গায় কোনো সহিংসতা হয়নি।

ওই তিন দিন এসব এলাকা থেকে ঢাকার ১০–১৫টি জায়গায় প্রায় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ নতুন সিম কার্ড ঢুকেছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।#

পার্সটুডে/এমএআর/২৭