দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই কল্যাণকর: ফখরুল
বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হব: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ, এই সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের আন্দোলনের ফসল। বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হব।"
আজ (শনিবার) জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, "এ সরকারকে ব্যর্থ করতে পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা বসে নেই। সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের আন্দোলনের ফসল। তাই এই সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হবো। তাদের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীতে যাচ্ছে, জনগণ ভাবছে সরকার নিজেদের ভালো সিদ্ধান্তগুালো চাপিয়ে দিতে চাইছে।"
তিনি বলেন, “দেশ প্রকৃত অবস্থায় ফিরে এসেছে, কারণ পতিত স্বৈরাচার পালিয়েছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের ১৬ বছরের জঞ্জাল তিনমাসে দূর করা সম্ভব নয়, কিন্তু তাদের কাজে সন্তুষ্ট না হলে জনগণের প্রশ্ন তোলাও অস্বাভাবিক নয়। কোনো ভুল পদক্ষেপে সমালোচনা হবেই, সরকারের অদক্ষতা হিসেবে তা বিবেচিত হবে।”
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, "অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারগুলো দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এদেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর।"
মির্জা ফখরুল বলেন, চ্যালেঞ্জ শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের নয়, এই চ্যালেঞ্জ সামনের দিকে যে সরকার আসছে তাদেরও।
জাতীয়তাবাদের সরকার তৈরি হবে, তারেক রহমান সে সরকার গঠন করবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন কঠিন সময় পার করছি আমরা। সতর্কতার সঙ্গে এই সময় অতিক্রম করতে হবে। বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং সাফল্য অর্জন করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কার শেষ করে উপযুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তারা কাজ করে যাচ্ছেন, আমরা তাদের সমর্থন দিচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই, মানুষের আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সময় যত বেশি যাবে, তত সমস্যা বেশি তৈরি হবে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারগুলো দ্রুত শেষ করে দ্রুত নির্বাচন ব্যবস্থা করা। নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এদেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর।
দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে গেছি, যাব জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে যেন আমরা পিছিয়ে না পড়ি, সে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।
আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ডা এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, আব্দুস সালাম প্রমুখ।#
পার্সটুডে/এমএআর/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।