আগামী শনিবার ৬ পণবন্দি ও ৪ জনের লাশ হস্তান্তর করবে হামাস
https://parstoday.ir/bn/news/event-i147180-আগামী_শনিবার_৬_পণবন্দি_ও_৪_জনের_লাশ_হস্তান্তর_করবে_হামাস
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে নিজের প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫ ১৪:২৯ Asia/Dhaka
  • খলিল আল-হাইয়্যা
    খলিল আল-হাইয়্যা

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে নিজের প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

সংগঠনের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়্যা মঙ্গলবার এক বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, আগামী শনিবার ছয় ইসরাইলি পণবন্দি এবং চার বন্দির লাশ হস্তান্তর করা হবে।

হাইয়্যা বলেন, প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তি যাতে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয় সেজন্য মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বিশেষ করে কাতার ও মিশরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে হামাস।

এ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি মেনে চলার ব্যাপারে হামাস নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে জানিয়ে খলিল আল-হাইয়্যা  বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল চুক্তির শর্তগুলো ঠিকমতো পালন করছে না। বিশেষ করে তারা এখনও গাজাবাসীকে হত্যা করে যাচ্ছে এবং এই উপত্যকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না।

গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়। তিন পর্যায়ে বাস্তবায়নযোগ্য এই চুক্তির ৪২ দিনব্যাপী প্রথম পর্যায়ে ৩৩ ইসরাইলি পণবন্দির মুক্তির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলি কারাগারগুলো থেকে মুক্তি পাবেন। এ পর্যন্ত ১৯ ইসরাইলি পণবন্দিকে ছেড়ে দিয়ে অন্তত ১,১০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করেছে হামাস। বাকি যে ১৪ জনকে মুক্তি দেয়া হবে তাদের মধ্যে আটজন নিহত হয়েছে বলে ইসরাইলি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি আগামী ১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।  তবে তার ২৬ দিন আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইলের গড়িমসির কারণে তা এখনও সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে গাজা যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/১৯