পশ্চিমা কূটনৈতিক মোড়
ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত চারটি দেশ
-
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ
পার্সটুডে-২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আগে, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
ফ্রান্স প্রথম প্রধান কোনো পশ্চিমা দেশ যারা কোনও শর্ত ছাড়াই এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং কানাডা এখনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে। শর্ত হচ্ছে ভবিষ্যতের সরকারে ফিলিস্তিনি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক চাপ এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিশ্বব্যাপী আহ্বানের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেহের নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, জাতিসংঘের ১৪৫ টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্র এরইমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বা পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা কয়েক দশক ধরে উপনিবেশবাদবিরোধী সংহতি, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের দাবিকে প্রতিফলিত করেছে। এশিয়ান, আফ্রিকান এবং ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলো এই স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্যে রয়েছে।
যদিও এই ঘোষণাগুলো প্রতীকী। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা উন্নীত করার জন্য বাস্তব প্রতিশ্রুতিতে রূপান্তরিত হওয়ার সময় এসেছে। অন্তত পর্যবেক্ষকের মর্যাদা থেকে পূর্ণ সদস্যপদে যা নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন এবং কিছু শক্তির ভেটো প্রত্যাহার ছাড়া কঠিন হবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি প্রতীয়মান হয় যে, ইসরায়েলি শাসনের আন্তর্জাতিক বৈধতার বিষয়টি ধীরে ধীরে তার সাবেক মিত্রদের মধ্যেও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আর এমন একটি পরিস্থিতি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
চলতি বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য পূর্ববর্তী অধিবেশনগুলিতে বারবার বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি শাসনের বিরোধিতা করবে তারা।
আপাতত ইসরায়েলির ওপর এসব দাবির প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা কম। তবে ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে এমনকি তার নিকটতম মিত্রদের মধ্যেও ইহুদিবাদী শাসনের অব্যাহত একগুঁয়েমি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ যেমন বর্ণবাদের অবসান ঘটাতে সাহায্য করেছে তেমনি বিশ্ব জনমতকেও ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।#
পার্সটুডে/জিএআর/১৯