বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সাড়ে ৪ মাস বাড়ল
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও সাড়ে চার মাস বাড়ানো হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নিতে পারবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। দেশে উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরে নৌ ও বিমান বাহিনীসহ কমিশনড কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
গত বছরের নভেম্বরে এ ক্ষমতার মেয়াদ প্রথম দফায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায়, মার্চে তৃতীয় দফায়, মে মাসে চতুর্থ দফায় ও জুলাই মাসে পঞ্চম দফায় ৬০ দিন করে বাড়ানো হয়। সেপ্টেম্বরে ষষ্ঠবারের মতো আরও ৬০ দিন সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়িয়েছিল সরকার, যা শেষ হচ্ছে ১১ নভেম্বর। এবার বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলো। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে দেশে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএআর/১১