হিমাচল প্রদেশে মাত্র ২৪ দিনের বর্ষণে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
https://parstoday.ir/bn/news/india-i125678-হিমাচল_প্রদেশে_মাত্র_২৪_দিনের_বর্ষণে_সাড়ে_৪_হাজার_কোটি_টাকার_ক্ষয়ক্ষতি
ভারতের হিমাচল প্রদেশে মাত্র ২৪ দিনের প্রবল বর্ষণে ৪ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এসডিএমএ) মতে, ভারী বৃষ্টিতে ৪ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রত্যেকদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দ্রুত বাড়ছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ১৮, ২০২৩ ১৩:৪৭ Asia/Dhaka
  • হিমাচল প্রদেশে মাত্র ২৪ দিনের বর্ষণে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ভারতের হিমাচল প্রদেশে মাত্র ২৪ দিনের প্রবল বর্ষণে ৪ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এসডিএমএ) মতে, ভারী বৃষ্টিতে ৪ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রত্যেকদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দ্রুত বাড়ছে।

বর্ষার মৌসুম শেষে তা আট হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হলো বর্ষা মৌসুমের মাত্র ২৪ দিন পার হয়েছে। রাজ্যে ১২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বর্ষা সক্রিয় থাকে। এই ২৪ দিনে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২/৬ গুণ বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্ষাজনিত কারণে রাজ্যে এত বিপর্যয় আগে কখনও হয়নি। এবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। অনেকে গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।  

রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এসডিএমএ) তথ্যে প্রকাশ, ২০২২  সালে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ২০২১ সালে ১১১৮.০২ কোটি টাকার সম্পত্তি, ২০২০ সালে ৮৫৩.৬১ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে ১১৭০.৫৬ কোটি টাকা এবং ২০১৮ সালে ১৫২০.৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বৃষ্টিতে ধ্বংস হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবার ৮ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত চারদিনের বৃষ্টিতে বেশি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।     

 ‘এসডিএমএ’র তথ্যে প্রকাশ, গত ২৪ জুন থেকে এপর্যন্ত  ১১৭ জন মারা গেছে। রাজ্য জুড়ে ১২১ জন আহত হয়েছে এবং ১২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে রাজ্য জুড়ে ৫০০টি কাঁচা ও পাকা বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে চার হাজার ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যে ১৩৩টি দোকান, ১০০০টি গোয়ালঘর এবং ৯৩৫টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাট, কাবার পানির প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ লাইনের। ভারী বর্ষণে রাজ্যে ৩৩টি সেতু ধ্বংস হয়েছে, এবং ১৪০০ টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ হয়েছিল। এখনও প্রায় ৭০০ সড়ক ৮ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে পানিশক্তি দফতরের ৯০ শতাংশ প্রকল্প ধ্বংস হয়ে গেছে।  জানা গেছে, এর মধ্যে প্রায় ১৮০০টি প্রকল্প এমন, যার পাম্প স্টেশন বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।   

পার্সটুডে/এমএএইচ/এসএ/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।