পিআইএ মুখপাত্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করল তেহরান
ইরানের আকাশে অল্পের জন্য রক্ষা পেল পাকিস্তানের দুই যাত্রীবাহী বিমান
ইরানের আকাশে বিপরীতমুখী দুটি পাকিস্তানি যাত্রীবাহী বিমান অল্পের জন্য সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে গত ২৪ জুলাইর ওই ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে পাকিস্তান যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে দুঃখ প্রকাশ করে তেহরান বলেছে, পাকিস্তানের দু’টি বিমানের একটির পাইলটের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মধ্য আকাশে একটি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সভাপতি মোহাম্মাদ মোহাম্মাদি-বাখশ বলেছেন, একজন পাকিস্তানি পাইলট অনুমোদন ছাড়া তার বিমানটিকে হঠাৎ করে বিপজ্জনক উচ্চতায় নামিয়ে আনলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা পিআইএ’র একজন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে ইরানের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে ‘অপেশাদার’ আখ্যায়তি করেন মোহাম্মাদি-বাখশ। পিআইএ’র কর্মকর্তা ওই ঘটনার জন্য ইরানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের মানবীয় ভুলকে দায়ী করেছিলেন।
মোহাম্মাদি-বাখশ বলেন, পিআইএ’র পেশোয়ারগামী একটি বিমানের পাইলট ইরানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে পাঠানো বার্তাকে ভুল বুঝে তার বিমানটিকে হঠাৎ করে কয়েকশ ফুট নীচে নামিয়ে আনেন। তিনি তার বিমানকে যে উচ্চতায় নামিয়ে আনেন সেই উচ্চতা দিয়ে ওই মুহূর্তে পিআইএ’র দুবাইগামী আরেকটি বিমান উল্টো দিক দিয়ে আসছিল।
ইরানের এই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা ইরনাকে আরো বলেন, “আমাদের এয়ারস্পেস কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে পেশোয়ারগামী বিমানের পাইলটের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড এবং এর লিখিত ট্রান্সক্রিপ্ট আমার হাতে রয়েছে। ওই পাইলট কন্ট্রোলারের দিকনির্দেশনা বুঝতে ভুল করেন এবং ক্লিয়ারেন্স ছাড়াই তার বিমানের উচ্চতা মারাত্মকভাবে কমিয়ে আনেন।” মোহাম্মাদি-বাখশ বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থাগুলোতে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থায় যাবো।”
এর আগে পিআইএ’র মুখপাত্র আব্দুল্লাহ হাফিজ খান দাবি করেছিলেন, তার সংস্থার দুটি বিমানের পাইলটরা তাৎক্ষণিকভাবে ককপিট সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেয়া ওয়ার্নিং অনুসরণ করে তাদের বিমান দু’টিকে সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা করেন।ইরানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টার থেকে বিমান দু’টিকে ভুল সিগন্যাল দেয়া হচ্ছিল বলেও তিনি দাবি করেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।