দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিদ্যুৎ-কেন্দ্রে ইরানি পার্টস!
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i122816-দক্ষিণ_পূর্ব_এশিয়ার_বিদ্যুৎ_কেন্দ্রে_ইরানি_পার্টস!
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে মার্কিন নির্মিত পার্টসের বদলে এখন ইরানে তৈরি পার্টস বা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
মে ০৫, ২০২৩ ১৮:৩৪ Asia/Dhaka
  • দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিদ্যুৎ-কেন্দ্রে ইরানি পার্টস!

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে মার্কিন নির্মিত পার্টসের বদলে এখন ইরানে তৈরি পার্টস বা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইরানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ খবর দিয়েছে।

ইরানের থার্মাল পাওয়ার প্লান্টস হোল্ডিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাসুল পিশাহাং গতকাল (বুধবার) বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্ভিসিংয়ের জন্য এক লাখ পার্টস তৈরি করেছে। এই সমস্ত পার্টসের অংশবিশেষ দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশ যেমন মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সরবরাহ করা হয়েছে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের মেরামতের জন্য।

আব্দুর রাসুল পিশাহাং আরো জানান, অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন মিটিয়ে এসব পার্টস মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে রপ্তানি করা হয়েছে অথচ এসব দেশে আগে আমেরিকার তৈরি পার্টস ব্যবহার করা হতো। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ইরানে তুলনামূলক অনেক বড় বিদ্যুৎশিল্প রয়েছে যেখানে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় এবং তা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।

ইরান নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার পর এই বিশাল বিদ্যুৎশিল্প পরিচালনা করতে গিয়ে নিজের প্রয়োজনের যন্ত্রাংশ নিজেই উৎপাদন করে। এখন সে সমস্ত যন্ত্রাংশ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ইরানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৯০ গিগাওয়াট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দেশটির ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গে ৩৪টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সংযুক্ত রয়েছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।