ইরানের বিশাল সামরিক শক্তির একটি ক্ষুদ্র প্রদর্শনী
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i136856-ইরানের_বিশাল_সামরিক_শক্তির_একটি_ক্ষুদ্র_প্রদর্শনী
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনী দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অঙ্গ সংগঠন। সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব "দেশের স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা"।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
এপ্রিল ২১, ২০২৪ ১৫:৩৯ Asia/Dhaka
  • ইরানের বিশাল সামরিক শক্তির একটি ক্ষুদ্র প্রদর্শনী

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনী দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অঙ্গ সংগঠন। সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব "দেশের স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা"।

আজ ইরানের সেনাবাহিনী স্থল ইউনিট, নৌ ইউনিট, বিমান ইউনিট এবং বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট নিয়ে গঠিত। এছাড়া দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ডবাহিনী বা আইআরজিসি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনা বাহিনীর অংশ।

এই নিবন্ধে সেনাবাহিনীর সামরিক কুচকাওয়াজের ছবির  সঙ্গে  দেশের সংবিধানের ভিত্তিতে ইরানী সেনাবাহিনীর কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

ইরানের সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করবে।
ইরানের সংবিধানের 144  ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীকে ইসলামিক, ধর্মীয় এবং জনপ্রিয় হতে হবে। 
ইরানের সংবিধানের ১৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে কোনো বিদেশীকে নেয়া যাবে না।

 

ইরানের সংবিধানের ১৪৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইরানে কোনো বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি তা শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য হলেও।
ইরানের সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শান্তির সময়ে সরকারকে অবশ্যই ত্রাণ, প্রশিক্ষণ, উৎপাদন ও নির্মাণ কাজে সেনাবাহিনীর লোকবল এবং প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। আর তা করতে হবে ইসলামি ন্যায়বিচারের মানদণ্ডের ভিত্তিতে।
ইরানের সংবিধানের ১৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার দেশের সকল মানুষের জন্য ইসলামি মানদণ্ড অনুযায়ী সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও সুযোগ-সুবিধা দিতে বাধ্য।
ইরানের সংবিধানের ১৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার দেশের সকল মানুষের জন্য ইসলামি মানদণ্ড অনুযায়ী সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও সুযোগ-সুবিধা দিতে বাধ্য।
সাদ্দামের হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ইরানি সেনাবাহিনী বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়। 
ইরানি সেনাবাহিনী আদিবাসী এবং ইরানী সমাজের মূল স্তর থেকে উঠে এসেছে। 
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনীকে ইরানের সমাজে ইসলাম, দেশপ্রেম এবং গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ দেখছেন। 
ইরানের সেনাবাহিনী যুদ্ধের নৈতিকতার ওপর অনেক বেশি জোর দেয়। 
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনী স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং জ্ঞান-ভিত্তিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে আসছে।

পার্সটুডে/এমবিএ/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন