বোয়িং জেট ইঞ্জিনের ব্লেড তৈরিতে সফল হলো ইরানের বিজ্ঞানীরা
পার্সটুডে-ইরানী বিজ্ঞানীরা এমডি জেট ইঞ্জিন ব্লেড তৈরি করতে সফল হয়েছেন। এই ইঞ্জিন ব্লেড তৈরি করার মধ্য দিয়ে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে যন্ত্রাংশ আমদানি জটিলতায় অচল হয়ে পড়া এই শ্রেণীর অন্তত ২৮টি বিমানকে সচল করার সুযোগ হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের অন্যায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে ইরানি বিশেষজ্ঞরা বিমানের জটিল প্রযুক্তিগত যন্ত্রাংশগুলো নিজেরাই তৈরি করতে বাধ্য হয়েছে। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, ইরানের জ্ঞান-ভিত্তিক বিমান সরঞ্জাম ও ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী সংস্থার ব্যবস্থাপক মনি রেজওয়ানি তাসনিম বার্তা সংস্থাকে একটি সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন: ইতোপূর্বে ৪০টি বোয়িং এমডি বিমান ইরানে সক্রিয় ছিল। কিন্তু সার্ভিসিং শেষে সেগুলোর মধ্য থেকে মাত্র ১২টিকে উড্ডয়নের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাদবাকি বিমানগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় নিষ্ক্রিয় রয়েছে। এই ঘটনার পর ইরান এভিয়েশন সেন্টার মাপনা পাওয়ার প্ল্যান্ট টারবাইন এবং তেল ও গ্যাস শিল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ তৈরির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জে.টি.এইট.ডি বোয়িং এমডি ইঞ্জিনের ব্লেড তৈরির কাজ শুরু করে।
তিনি আরো বলেন: এই ইঞ্জিনের সার্টিফিকেট পাওয়ার সর্বশেষ পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন, এমডি প্লেনে এই ব্লেড বসানোর চূড়ান্ত লাইসেন্স ইস্যু করার পর বাণিজ্যিকভাবে এই সরঞ্জাম উৎপাদন শুরু করা হবে।
জনাব রেজওয়ানি গুরুত্বের সাথে বলেন: দেশে উৎপাদিত এইসব সরঞ্জামের আনুমানিক মূল্য যেখানে ৭ থেকে ৮ হাজার ডলার পড়বে, সেখানে বিদেশি যন্ত্রাংশের দাম হবে ২২ হাজার ডলার! ভবিষ্যতে এগুলো বিদেশী বাজারে, বিশেষ করে রাশিয়া এবং ককেশাস অঞ্চলের দেশগুলোতে এসব ব্লেড রপ্তানির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া লাইসেন্স পাওয়ার পর বিদেশী সংস্থাগুলোর সাথে বিস্তৃত পরিসরে এসব সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা শুরু করা হবে।#
পার্সটুডে/এনএম/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন