নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ; ইরানি ট্রেন চলতে শুরু করেছে
-
ইরানের জাতীয় ট্রেন
পার্সটুডে-দেশীয় জ্ঞানের সাহায্যে নির্মিত ইরানের "জাতীয় মেট্রো ট্রেন" চলাচলের খবরে বিদেশি ব্যবহারকারীরা তরুণ ইরানি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা এবং দৃঢ়তার প্রশংসা করেছে।
বিদেশী ব্যবহারকারীরা সাইবারস্পেসে এ বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছে যে, বেশ কয়েকটি জাতীয় ট্রেন র্যামের উৎপাদন এবং নির্মাণ প্রমাণ করছে ইরানিরা নিষেধাজ্ঞাকে পরাজিত করেছে এবং জাতীয় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রতিভা ও দৃঢ়তা তাদের রয়েছে। র্যাম হলো একটি ট্রেনের গণনার একক। প্রতি সাতটি ওয়াগনে একটি র্যাম।
ফার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, "জাতীয় মেট্রো ট্রেন" প্রকল্প, ২৫টি জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানি এবং চারটি বৃহৎ শিল্প কোম্পানির সহযোগিতায় ইরান সীমান্তের মধ্যে প্রাথমিক ডিজাইন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত জাতীয় ট্রেন র্যামের উৎপাদনের সম্পূর্ণ পর্যায় বাস্তবায়ন করেছে।
বিদেশী ব্যবহারকারীরা এই ঘটনাকে 'ইরানি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য একটি মহান বিজয়' এবং দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরাজয়ের ইঙ্গিত বলে মনে করেন।
এ বিষয়ে বিদেশি ব্যবহারকারীদের কিছু মন্তব্য নিম্নরূপ:
ট্রেন, ড্রোন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। আর কী বাকি আছে যা ইরান করতে পারে না?
ইরান অন্য স্তরে রয়েছে
স্থানীয়ভাবে মেট্রো ট্রেন নির্মাণের জন্য ইরানের বড় পদক্ষেপ প্রকৃত প্রযুক্তিগত স্বাধীনতাই প্রমাণ করে। ধাপে ধাপে আমদানি নির্ভরতা কমানো, অর্থনীতি এবং জাতীয় স্থিতিস্থাপকতাকে শক্তিশালী করে। এভাবেই জাতিগুলি উন্নতি করে: নিজস্ব প্রকৌশলীদের ওপর আস্থা রেখে, বিদেশি সরবরাহকারীদের ওপর নয়...
ইরানিরা সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং তাদের বুদ্ধিমত্তা প্রখর। মেট্রো ট্রেন কিংবা তার মতো অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করা ইরানিদের জন্য খুব সহজ, কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশ ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে এইসব তৈরি করতে সময় লেগে যায়।
ইরানিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ২,৫০০ বছর এগিয়ে ছিল এবং ২০২০ সালের মধ্যে তারা অভ্যন্তরীণভাবে অনেক পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিল।
দশ বছরের ধৈর্যশীল এবং ক্লান্তিকর প্রকৌশলকর্ম হঠাৎ করেই রাতারাতি সাফল্যের মতো মনে হয়।
এটা ইরানি প্রকৌশলীদের জন্য একটি বড় বিজয়#
পার্সটুডে/এনএম/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন