সাম্প্রতিক গোলযোগে ইরান বিরোধী অপপ্রচার জনগণের বিরুদ্ধে প্রক্সিযুদ্ধ: শামখানি
(last modified Wed, 03 Jan 2018 12:47:24 GMT )
জানুয়ারি ০৩, ২০১৮ ১৮:৪৭ Asia/Dhaka

ইরানে কিছু দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছোটখাট বিক্ষোভের ঘটনাকে পাশ্চাত্য সুযোগ হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খল সৃষ্টিকারীরা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছে। এমনকি সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

ইরানে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। বিদেশি অনেক মিডিয়ার প্রচার এবং আমেরিকা ও সৌদি কর্মকর্তাদের একের পর এক টুইট বার্তা থেকে বোঝা যায়, শত্রুরা ভেবেছিল বিশৃঙ্খল অবস্থার সুযোগে ইরানের ইসলামি সরকার ব্যবস্থা উৎখাত করা যাবে। বিক্ষোভ শুরুর সাথে সাথে ইরান বিরোধী সন্ত্রাসী মোনাফেক গোষ্ঠীর তৎপরতা থেকে শুরু করে হোয়াইট হাউজের শীর্ষ নেতাদের টুইটবার্তা থেকে বোঝা গিয়েছিল তারা বেশ খুশী।

ইরানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার এই ঘটনাকে কিভাবে মূল্যায়ন করা যায় সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এ বিক্ষোভ বাইরে থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এর সাথে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ইরান সরকার অতীতের মতো এবারও সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

আবার কেউ কেউ ইরানের ঘটনাকে কালো কিংবা সাদা হিসাবে নয় বরং ধোঁয়াসাচ্ছন্ন বিষয় বলেই মনে করছেন। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, "সম্প্রতি ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইরান বিরোধী যে ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হয়েছে তা ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে প্রক্সিযুদ্ধ যার পেছনে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, সৌদি আরব ও আরো কয়েকটি দেশের ইন্ধন।"

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি আরো বলেছেন, "ইরানের উন্নতির ধারা বাধাগ্রস্ত করতেই বাইরের বিভিন্ন মহল সম্প্রতি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে ইন্ধন যুগিয়েছে এবং এর মাধ্যমে শত্রুরা ভেতর থেকে ইরানকে ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।" শামখানি তার বক্তব্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জনমনে অসন্তোষের জের ধরে বিক্ষোভের নানা কারণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা সমস্যা নিয়ে বক্তব্য বা আপত্তি তুলে ধরার অধিকার ইরানের জনগণের রয়েছে এবং এটা একটি সমাজের বিকাশ ও স্বাধীনতার আলামত। ইসলামি ইরানের সংবিধানেও জনগণের নানা সমস্যা বিবেচনায় আনার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

যাইহোক, অসন্তোষ প্রকাশ করে সমাবেশ করা একটি সমাজের মৌলিক অধিকার তবে তারও কিছু নিয়ম রয়েছে। এ অবস্থায় আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৩