জার্মানি ও ফ্রান্সের উচিত ইউরোপের স্বার্থ রক্ষা করা: জারিফ
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i56186-জার্মানি_ও_ফ্রান্সের_উচিত_ইউরোপের_স্বার্থ_রক্ষা_করা_জারিফ
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে নিজের পরমাণু কর্মসূচি আরো অনেক গতিশীল ও অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে শুরু করবে তার দেশ।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
এপ্রিল ২৩, ২০১৮ ০৬:০৭ Asia/Dhaka
  • সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন জারিফ
    সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন জারিফ

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে নিজের পরমাণু কর্মসূচি আরো অনেক গতিশীল ও অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে শুরু করবে তার দেশ।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা আল-মনিটরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। মার্কিন সরকার কখনোই পরমাণু সমঝোতা মেনে চলেনি- উল্লেখ করে জারিফ বলেন, ইরান সব সময় নিজের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ যাতে পরমাণু সমঝোতা থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে না পারে সেজন্য মার্কিন সরকার গত ১৫ মাস ধরে চেষ্টা চালিয়েছে। কাজেই ওয়াশিংটন এ সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে তা ইরানের অর্থনীতির ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

এদিকে আমেরিকাকে পরমাণু সমঝোতায় ধরে রাখার জন্য জার্মানি ও ফ্রান্স ইরানের ওপর যে চাপপ্রয়োগ করছে তার সমালোচনা করে জারিফ বলেন, ওই দুই দেশ সম্পূর্ণ ভুল নীতি গ্রহণ করেছে। তারা যদি নিজেদের ও ইউরোপের স্বার্থ রক্ষা করতে চায় তাহলে তাদের উচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একথা বোঝানোর চেষ্টা করা যে, আমেরিকাকে পরমাণু সমঝোতায় অটল থাকার পাশাপাশি সদিচ্ছা নিয়ে সঠিকভাবে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

পরমাণু সমঝোতা শুধু ইরানের স্বার্থ রক্ষা করছে বলে দাবি করে ট্রাম্প এটির ধারায় এমনভাবে পরিবর্তন আনার দাবি জানাচ্ছেন যার ফলে তাতে ওয়াশিংটনেরও স্বার্থ রক্ষিত হয়।

ট্রাম্প গত ১২ জানুয়ারি ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ১২০ দিনের জন্য স্থগিত রাখেন। কিন্তু তিনি এই বলে সতর্ক করে দেন, এই সময়ের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেস ও ইউরোপ তার দাবি মানতে ব্যর্থ হলে আগামী ১২ মে তিনি পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাবেন এবং ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা আর স্থগিত রাখবেন না।

ট্রাম্পের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসা। তেহরান তার ওই দু’টি দাবিই অনেক আগে থেকে নাকচ করে এসেছে।

২০১৫ সালের জুলাই মাসে জার্মানি, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করে ইরান। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এটির বাস্তবায়ন শুরু হলেও মার্কিন সরকার কখনোই এ সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চলেনি।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/২৩