ইরান কখনো তার ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ অন্য কাউকে দেবে না: জরিফ
-
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ইরানি জাতি ১৯৫১ সালে দেশের তেল সম্পদকে জাতীয়করণ করার সংগ্রাম করেছে যা প্রমাণ দেয় যে, এ দেশের জনগণ কখনো নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ অন্য কাউকে দেবে না।
গতকাল (বুধবার) জাওয়াদ জারিফ এক টুইটার পোস্টে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, “ইরান নিজের গন্তব্য ঠিক করার কারণে এই প্রথম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় নি বরং আজ থেকে ৬৮ বছর আগে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ মোসাদ্দেকের নেতৃত্বাধীন সংসদ আমাদের তেল শিল্পকে জাতীয়করণ করে। এরপর ইরানে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়। তবে ইরানি জনগণ কখনো তাদের ভাগ্য অন্য কাউকে নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে না।”

১৯৫১ সালের ২০ মার্চ ইরানি সংসদের সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেকের তোলা বিলের পক্ষে ভোট দেন যার মাধ্যমে ইরানের তেলসম্পদকে জাতীয়করণ করা হয়। মোসাদ্দেকের জাতীয়তাবাদী দল এ উদ্যোগকে সামনে আনে যার প্রতি দেশের ধর্মীয় নেতাদেরও সমর্থন ছিল। সে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ইরানের প্রখ্যাত আলেম আয়াতুল্লাহ আবুল কাসেম কাশানি। এর ফলে ইরানের তেল শিল্পে ব্রিটেনের চার দশকের আধিপত্যের অবসান ঘটে।
এর আগে ব্রিটেনের অ্যাংলো-ইরানি অয়েল কোম্পানি ইরানের তেল শিল্পের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত; শুধুমাত্র ইরানকে তার রাজস্ব দিত। প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেকের পদক্ষেপে ব্রিটেন ও আমেরিকা ক্ষিপ্ত হয়ে ইরানের তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যখন তারা দেখল যে, নিষেধাজ্ঞা ঠিকমতো কাজ করছে না তখন তারা যৌথভাবে ইরানে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটায়। সেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মোসাদ্দেক সরকারকে উৎখাত করে মোহাম্মাদ রেজা পাহলভিকে ক্ষমতায় বসানো হয় এবং ইরানে পশ্চিমাপন্থি নতুন রাজতন্ত্র চালু হয়।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২১