ইমাম খোমেনী (রহ.)’র ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
(last modified Tue, 04 Jun 2019 00:13:09 GMT )
জুন ০৪, ২০১৯ ০৬:১৩ Asia/Dhaka
  • ইমাম খোমেনী (রহ.)
    ইমাম খোমেনী (রহ.)

ইরানে আজ ইসলামি বিপ্লবের মহান নেতা ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.)'র ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। তেহরানের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ইমাম খোমেনী (রহ.)'র মাজারে আজ (মঙ্গলবার) লাখ লাখ মানুষ সমবেত হন। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো আজও ইরানে সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মাজার প্রাঙ্গণে সমবেত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রতি বছর সারা ইরান থেকে লাখ লাখ মানুষ ইমামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মাজারে সমবেত হন।

আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ মুসাভি খোমেনী ১৯০২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইরানের খোমেন শহরের একটি সম্ভ্রান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বংশ পরম্পরায় এ মহান নেতার পরিবার সমাজকে ধর্মীয় দিক-নির্দেশনা দেয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

ইমামের শিক্ষাজীবন শুরু হয় পবিত্র কুরআন হেফ্‌জ করার মধ্যদিয়ে। এরপর তিনি ইরানের আরাক শহরে (১৯২০-২১) এবং পরবর্তীতে কোমে (১৯২৩) ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন।

১৯৩০ এর দশকে ইমাম খোমেনী (রহ.) কোমের ধর্মতত্ত্ব কেন্দ্রের ছাত্রদের ইসলামি আইনশাস্ত্র শিক্ষা দেন। ১৯৫০ এর দশকে তিনি ইসলামি ফিকাহশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করে মুজতাহিদ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। ১৯৬১ সালে ইমামের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।

১৯৬৩ সালে তিনি তত্কালীন শাহ সরকারের অত্যাচার, নিপীড়ন ও আমেরিকার পদলেহী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সে সময় মোহাম্মাদ-রেজা শাহ ইরানে কথিত শ্বেতবিপ্লব শুরু করেছিলেন।

ইমামের নেতৃত্বে দেশে বসবাসরত ইরানি জনগণের পাশাপাশি সারাবিশ্বে অবস্থানরত ইরানিরা শাহ সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লবী তত্পরতা শুরু করে। ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সে বিপ্লব চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করে এবং  এর মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে একটি নজীরবিহীন বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন ইমাম খোমেনী (রহ.)।

ইমামের মৃত্যুর পর গত ৩০ বছর ধরে সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী

বিপ্লব পরবর্তী ইসলামি শাসনব্যবস্থায় সর্বোচ্চ নেতার পদ গ্রহণ করেন তিনি। তবে সরকার পরিচালনা থেকে নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে রাখেন। ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর ১০ বছর তিনি সব রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকেন। ১৯৮৯ সালে আল্লাহর সাক্ষাতে চলে যান এই মহান নেতা। তাঁর জানাযার নামাজে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

ইমামের মৃত্যুর পর ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদ সাবেক প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।

পার্সটুডে/মো. মুজাহিদুল ইসলাম/৪