আপনারা এখানে কী করেন: ইউরোপ-আমেরিকাকে সর্বোচ্চ নেতা
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i54115-আপনারা_এখানে_কী_করেন_ইউরোপ_আমেরিকাকে_সর্বোচ্চ_নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, আমেরিকা সব অঞ্চলে অন্যায় ও উসকানিমূলক উপস্থিতি বজায় রাখলেও মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশে ইরানের উপস্থিতির বিষয়ে দেশটি অনবরত নানা সন্দেহ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। নবী নন্দিনী হজরত ফাতিমা (সা.আ.)'র জন্মদিনের প্রাক্কালে আজ (বৃহস্পতিবার) এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আগামীকাল ইরানে হজরত ফাতিমা (সা.আ.)'র শুভ জন্মবার্ষিকী পালিত হবে। নবী নন্দিনীর জন্মদিনকে ইরানে জাতীয়ভাবে মা ও নারী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ০৮, ২০১৮ ১৯:১৩ Asia/Dhaka
  • আপনারা এখানে কী করেন: ইউরোপ-আমেরিকাকে সর্বোচ্চ নেতা

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, আমেরিকা সব অঞ্চলে অন্যায় ও উসকানিমূলক উপস্থিতি বজায় রাখলেও মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশে ইরানের উপস্থিতির বিষয়ে দেশটি অনবরত নানা সন্দেহ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। নবী নন্দিনী হজরত ফাতিমা (সা.আ.)'র জন্মদিনের প্রাক্কালে আজ (বৃহস্পতিবার) এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আগামীকাল ইরানে হজরত ফাতিমা (সা.আ.)'র শুভ জন্মবার্ষিকী পালিত হবে। নবী নন্দিনীর জন্মদিনকে ইরানে জাতীয়ভাবে মা ও নারী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।

এ উপলক্ষে আজ সারা দেশ থেকে হাজার হাজার কবি, গীতিকার ও বক্তা সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে কি এই অঞ্চলের কোনো দেশে উপস্থিতির জন্য আমেরিকার অনুমতি নিতে হবে? এই অঞ্চলের দেশগুলোতে উপস্থিতির জন্য ওই সব দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব নাকি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করব?

আঞ্চলিক দেশে উপস্থিতির জন্য ইরান কখনোই আমেরিকাসহ অঞ্চলের বাইরের কোনো দেশের সঙ্গে আলোচনা করবে না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমরা কেবল তখনি আমাদের উপস্থিতির বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করব যখন সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা এখন আমেরিকায় যাব।

মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশে ইরানের উপস্থিতির বিষয়ে  আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকজন কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের এ ধরনের আচরণের সমালোচনা করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এর সঙ্গে আপনাদের কী সম্পর্ক? এ অঞ্চলটি আপনাদের নাকি আমাদের? আপনারা এখানে কী করেন?

ইসলামি ইরান এ অঞ্চলের জাতিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে এবং সে অনুযায়ী এগোচ্ছে বলে তিনি জানান। 

পাশ্চাত্য নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার যে কথা বলে সেটাকে লোক দেখানো হিসেবে উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতেও পাশ্চাত্যের অনেক নারী কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন তারা নিগ্রহ ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম হিজাবের বিধান রেখে এ ধরণের বিচ্যুতির পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে হিজাব (ইসলামি শালীন পোশাক) হচ্ছে নারীর নিরাপত্তার মাধ্যম। পাশ্চাত্য নারী স্বাধীনতার যে সংজ্ঞা তৈরি করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, নারীরা সম্মানের অধিকারী। তারা সামাজিক অঙ্গনে তৎপরতা চালাবেন, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করবেন এবং বিভিন্ন দায়িত্ব নেবেন-এ ক্ষেত্রে কারো পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানি নারীরা শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। এটা ইসলামি বিপ্লবের একটি বড় গুণ। বিপ্লবের আগে ইরানে এমনটি ছিল না। শিক্ষা-বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শ্রেষ্ঠদের তালিকায় নারীর সংখ্যা ছিল খুবই কম।#

পার্সটুডে/সোহেল আহম্মেদ/৮