সুদানে বিমান হামলায় ১৭ জনের প্রাণহানির পর ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলো ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। গতরাতে তারা এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। আজ রোববার সকাল থেকে এই চুক্তি কার্যকর হচ্ছে।
সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলায় ১৭ জন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। নিহত ১৭ ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে। হামলায় ২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
গতকালই সুদানের ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ারমুক এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। সুদানের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করার হুমকি দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর শীর্ষ এক জেনারেল। এর এক দিন পরেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ মাসের প্রথম দিকে আরএসএফ ইয়ারমুক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে।
সুদানে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে চলমান সংঘর্ষে প্রায় ২২ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
সুদানে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে, তবে সেগুলো কার্যকর হয়নি। আরএসএফ বলছে, মায়ো, ইয়ারমুক ও মান্ডেলার এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে সম্প্রতি হামলাগুলো চালানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।
সুদানে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক সীমান্ত পার হয়ে প্রতিবেশী দেশ চাদে গিয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকেরা।
এই সহিংসতার কারণে সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুই দশকের পুরোনো সহিংসতা আবার বেড়েছে।
ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও তার সাবেক উপপ্রধান মোহাম্মেদ হামদান দাগলোর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।#
পার্সটুডে/এসএ/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।