‘স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থা’ বলে দাবি করছে বাকু
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে হামলা শুরু করেছে আজারবাইজান: ৭ জন নিহত
-
নাগোর্নো-কারাবাখের আজারবাইজানীয় বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের স্টেপানাকার্টের কাছে ধোঁয়া উঠছে।
বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সামরিক হামলা শুরু করেছে আজারবাইজান। তবে এ হামলাকে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে হামলা না বলে ‘স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থা’ বলে দাবি করছে আজারবাইজান।
বাকু অভিযোগ করেছে, আর্মেনিয়া বিতর্কিত ওই অঞ্চলে সেনা জড়ো করছে; যদিও নাগরনো-কারাবাখে কোনো সেনা মোতায়েনের খবর অস্বীকার করেছে ইয়েরেভান।
আর্মেনিয়া উল্টো বলছে, আজারবাইজান নাগারনো-কারাবাখের জনগণের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আগ্রাসন শুরু করেছে। ইয়েরেভান অভিযোগ করছে, আজারবাইজান ওই অঞ্চলে আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালাতে চায়।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী যুদ্ধের যে প্রস্তুতি নিয়েছে তারা যদি আত্মসমর্পণ করে কেবল তাহলেই ‘সন্ত্রাস-বিরোধী তৎপরতা’ বন্ধ হবে। তবে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে ওই অঞ্চলে দেশটির কোনো সেনা মোতায়েনের দাবি অস্বীকার করেছে।
আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক বলেছে, আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে উস্কানি এবং সশস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা শুরু করেছে বাকু। অবশ্য একই সময়ে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি ব্যাপকভিত্তিক সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
নাগরনো-কারাবাখের সর্বোচ্চ মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা গেঘাম স্টেপানিয়ান বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে আজারবাইজানের হামলায় তিন নারী ও দু’টি শিশুসহ সাত বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ সময় ১৫ নারী ও ১৩ শিশুসহ ৩৫ জন আহত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বিষয়টি নিয়ে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্লিঙ্কেন নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সংঘাত বন্ধ করতে উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যদিকে ওই অঞ্চলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।