ইরানের বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক মেকানিজমের তীর ইউরোপের দিকেই ফিরে যাবে
পার্সটুডে- এক্স (সাবেক টুইটার) সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ইরানি ব্যবহারকারীরা ইউরোপীয় দেশগুলোর ইরান বিরোধী স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম চালু করাকে একটি কৌশলগত ভুল বলে অভিহিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ত্রয়ী সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম সক্রিয় করেছে যা একটি অবৈধ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম চালু করার পর ইউরোপীয়রা দাবি করেছে, ইরানের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞাগুলো ফিরে এসেছে।
পার্সটুডে বলছে- এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ইরানি ব্যবহারকারীরা ইরানের বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক চালু করারকে ইউরোপীয় দেশগুলোর একটি কৌশলগত ভুল বলে মনে করেছেন। এই প্রসঙ্গে আবুল ফজল নামের একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, "ইউরোপ বুলেট ছাড়াই ট্রিগার চাপার হুমকি দিচ্ছে! জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে এবং ইউরো মন্দার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে এই রাজনৈতিক ধোঁকাবাজি কেবল ইউরোপের অক্ষমতাকেই প্রকাশ করে।"
ফাতিমা" নামের আরেকজন ব্যবহারকারী ইউরোপকে একটি ফাঁপা ড্রামের সাথে তুলনা করেছেন, যার বিপরীতে ইরান নামক একটি দেশ দাঁড়িয়ে আছে, যার সংস্কৃতি এবং সভ্যতা ইউরোপীয়দের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয়।
হোসেইন মালেকি নামের আরেকজন সক্রিয় সদস্য লিখেছেন, "ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় আমেরিকা ও ইউরোপের বিশ্বাসঘাতকতা স্পষ্ট হয়েছে এবং ইরানি জাতির প্রতি তাদের শত্রুতার গভীরতা স্পষ্ট হয়েছে। আট বছরের ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় জার্মান রাসায়নিক অস্ত্র, ফরাসি যুদ্ধবিমান এবং আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দামের নিযুক্ত হয়েছিল।"
“ইরান” নামের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপকে ভুল ঠিকানা দেখিয়েছেন এবং ইউরোপকে দুর্বিষহ করে তুলছেন!”
"সেতারেহ ইয়াজদি" নামের একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, "জার্মানি ও ইংল্যান্ডে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং ফ্রান্সে ধীর প্রবৃদ্ধি ইউরোপের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে; এ অবস্থায় ইরানের বিরুদ্ধে তিন ইউরোপীয় দেশের পদক্ষেপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক নীতির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।"#
পার্স টুডে/এসএ/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।