পম্পেওকে জারিফের প্রশ্ন: ‘আপনার কি লজ্জা নেই?’
https://parstoday.ir/bn/news/world-i65664-পম্পেওকে_জারিফের_প্রশ্ন_আপনার_কি_লজ্জা_নেই_’
সৌদি আরব ইয়েমেনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে দেশটিতে লাখ লাখ ডলারের মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে দাবি করেছেন সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইটার বার্তায় পম্পেওকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, “আপনার কি লজ্জা নেই?”
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
নভেম্বর ০৯, ২০১৮ ০৬:৪৮ Asia/Dhaka
  • ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ
    ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ

সৌদি আরব ইয়েমেনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে দেশটিতে লাখ লাখ ডলারের মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে দাবি করেছেন সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইটার বার্তায় পম্পেওকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, “আপনার কি লজ্জা নেই?”

বার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, “মিস্টার পম্পেও আপনি বোধ হয় একথা বলতে চান যে, ইয়েমেনে চলমান দুর্ভিক্ষের জন্য সেদেশের নিরীহ জনগণই দায়ী। আপনি যাদেরকে সহায়তাকারী বলছেন তারা কোটি কোটি ডলারের সমরাস্ত্র ব্যবহার করে ইয়েমেনের স্কুলবাসে হামলা চালাচ্ছে, আবার একই সঙ্গে আপনার ভাষায় লাখ লাখ ডলারের সাহায্য পাঠাচ্ছে। ইয়েমেনের জনগণ সৌদি আগ্রাসনের সামনে কেন প্রতিরোধ গড়ে তুলছে আপনার কষ্টটা বোধহয় সেখানে। লজ্জাশরম বলেও কিছু থাকা প্রয়োজন। আপনার কি তার বিন্দুমাত্র বালাই নেই?”

 মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও 

সাম্প্রতিক সময়ে ইয়েমেনের নিরীহ জনগণের ওপর ভয়াবহ আগ্রাসন চালানোর লক্ষ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সেই সমালোচনা থেকে সৌদি সরকারকে রক্ষা করার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রিয়াদের পক্ষ সমর্থন করে কথা বলেন। তিনি বিবিসি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, “ইয়েমেনের ধ্বংস ও দুর্ভিক্ষের জন্য ইরান দায়ী। অথচ এসব ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সৌদি আরব লাখ লাখ ডলার খরচ করছে।”

সৌদি আরব ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে দারিদ্রপীড়িত প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনের ওপর ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে। এই আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইয়েমেনের অন্তত ১৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে হাজার হাজার নারী ও শিশু রয়েছে। চলমান আগ্রাসনে রিয়াদকে সহযোগিতা করছে আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরো কিছু দেশ। সৌদি আগ্রাসনের ফলে ইয়েমেনে সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য ও ওষুধের প্রচণ্ড অভাব দেখা দিয়েছে এবং দেশটি এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৯