শ্রীলঙ্কা হামলা: মূল হোতার বাবা ও ২ ভাই পুলিশি অভিযানে নিহত
-
শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় কাত্তানকুডি শহরে এনটিজে\'র সদরদপ্তর
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে’তে চালানো রক্তক্ষয়ী হামলার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী জাহরান হাশিমের বাবা ও দুই ভাই পুলিশি অভিযানে নিহত হয়েছে। হাশিম শ্রীলঙ্কায় ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত বা এনটিজে নামের একটি উগ্র গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার তৎপরতা বর্তমানে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সরকার। পুলিশ শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় কাত্তানকুডি শহরে এই গোষ্ঠীর সদরদপ্তরে অভিযান চালায়।
এ ছাড়া, পুলিশ কাত্তানকুন্ডি শহরের নিকটবর্তী সাইনথামারুথু এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে ভেতর থেকে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তিন ব্যক্তি আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এর ফলে তাদের পাশাপাশি বাড়িতে থাকা ছয় শিশু এবং তিন নারীও নিহত হন। দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের সময় ক্রসফায়ারে পড়ে নিহত হন আরো তিন ব্যক্তি।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে যে, হাশিমের বাবা ও দুই ভাই ওই অভিযানে নিহত হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলা হয়েছে, মোহাম্মাদ হাশিম ও তার দুই পুত্র জাইনি হাশিম ও রিলওয়ান হাশিম পুলিশি অভিযানের সময় আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার পুলিশ দাবি করেছে, এই তিনজনকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও’তে সকল অমুসলিমের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ করার আহ্বান জানাতে দেখা গেছে।

এর আগে শুক্রবারের এই অভিযানের খবর শনিবার প্রচার করা হলেও তখন তাতে জাহরান হাশিমের বাবা ও দুই ভাই'র নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা দেশটিতে মুসলিম নারীদের মুখ আবৃত করে রাখার পোশাক বা নেকাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। মুখ আবৃত করে কেউ যাতে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে না পারে সেজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে কলম্বো জানিয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল রোববার শ্রীলঙ্কার কয়েকটি গির্জা ও হোটেলে ধারাবাহিক আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২৫০ ব্যক্তি নিহত হন। গতকাল রোববার শ্রীলঙ্কা জুড়ে গির্জাগুলোতে উপাসনা বন্ধ করে খ্রিস্টানরা যার যার বাড়িতে উপাসনা করেছেন। তবে ২১ এপ্রিলের হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কলম্বের সেন্ট অ্যান্থনি গির্জার বাইরে গতকাল কিছু মানুষ সমবেত হয়েছিলেন।#
পার্সটুডে/মো. মুজাহিদুল ইসলাম/২৯