কাশ্মীর নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সোমবার আলোচনা
https://parstoday.ir/bn/news/world-i73295-কাশ্মীর_নিয়ে_ইউরোপীয়_ইউনিয়নে_সোমবার_আলোচনা
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি।
(last modified 2025-11-11T14:44:42+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯ ১৮:৫৯ Asia/Dhaka
  • পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি
    পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি।

গতকাল (শনিবার) তিনি সীমান্তবর্তী উমেরকোটে শিব মন্দিরে সমবেত হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন। তিনি বলেন, এই জনসমাবেশ কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয় তবে তা ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকারকে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে যে, পাকিস্তানের হিন্দু ও অমুসলিমরা কাশ্মীরের জনগণের পক্ষে রয়েছেন।

কোরেশি জানান, আগামীকাল (সোমবার) ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনা করবে। এই আলোচনা বন্ধ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ভারত। তিনি বলেন, পরের দিনই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতীয় হাই কমিশনার, মানবাধিকার কর্মী ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য লন্ডনের হাইড পার্কে সমবেত হবেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। এছাড়া, তিনি নিজে শিগগিরই কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপনের জন্য জেনেভা সফর করবেন।

ভারতীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন কাশ্মীরের নারীরা

অন্যদিকে, কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বক্তব্য রাখবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ সময় পুরো বিশ্ব দেখবে পাকিস্তানের অবস্থান। ডন অনলাইন এ খবর দিয়েছে।

শাহ মেহমুদ কোরেশি আরো বলেন, ভারত দখলীকৃত কাশ্মীরে যে মাত্রায়ই দমনপীড়ন চালানো হোক না কেন, কাশ্মীরিদের কণ্ঠকে দমিয়ে রাখা যাবে না, যারা গত কয়েকটি সপ্তাহ কারফিউয়ের মধ্যে রয়েছেন।

উমেরকোটে সমবেত জনতাকে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি সেখানে গিয়েছেন। শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, এই সমাবেশ থেকে মোদি ও জয় শঙ্করের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা চলে গেছে। তাহলো, তারা কাশ্মীরি জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন না। কিন্তু পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিন্দুদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার কাশ্মীরি মুসলিমদেরকে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রেও বাধা দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে সব অমুসলিম তাদের উপাসনালয়ে অবাধে উপাসনা করতে পারছেন। তার ভাষায়, ভারত সরকার মসজিদগুলোকে ফাঁকা করে ফেলেছে। কিন্তু পাকিস্তানে মন্দিরগুলোর প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১