মিয়ানমারে পুলিশ হেফাজতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত দল এনএলডির আরেক কর্মকর্তা পুলিশি হেফাজতে মারা গেছেন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভের সময় পুলিশ তাকে আটক করেছিল।
এ নিয়ে গত দুইদিনে পুলিশি হেফাজতে এনএলডির সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির মৃত্যু হলো। আজ যে কর্মকর্তা মারা গেছেন তার নাম জউ মায়াত লিন।
এর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ইয়াঙ্গুনের একটি এলাকায় রাতভর শতাধিক তরুণ বিক্ষোভকারীকে অবরুদ্ধ করে রাখে, পরে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে পেরেছেন। আজ আন্দোলনকারীদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়া। আটকা পড়া এসব তরুণকে ছেড়ে দিতে জাতিসংঘ ও প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলো আহ্বান জানিয়েছিল।
ইয়াঙ্গুনের সানচুং এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁদে আটকা পড়া এসব তরুণের সমর্থনে রাতেই কারফিউ উপেক্ষা করে কয়েক হাজার লোক শহরটির রাস্তায় নেমে আসে। এই তরুণরা ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিদিন এই সানচুং এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছিলেন।
পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, বাইরে থেকে এসে কেউ এলাকার বাড়িগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে প্রত্যেক বাড়িতে তল্লাশি চালাবে তারা এবং তাদের লুকিয়ে রাখার কারণে যারা ধরা পড়বে তাদেরও শাস্তি হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের তথ্য অনুযায়ী, যারা আটকা পড়েছিলেন তাদের অনেকেই নারী এবং তারা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।#
পার্সটুডে/এসএ/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।