পেরুকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল: ম্যাচ সেরা নেইমার
https://parstoday.ir/bn/news/world-i94200-পেরুকে_হারিয়ে_কোপা_আমেরিকার_ফাইনালে_ব্রাজিল_ম্যাচ_সেরা_নেইমার
পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
জুলাই ০৬, ২০২১ ০৯:৪৬ Asia/Dhaka
  • পেরুকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল: ম্যাচ সেরা নেইমার

পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা।

রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে পেরুর বিপক্ষে শুরুটা দারুণ করেছিল নেইমাররা। ম্যাচের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মাঠের নিয়ন্ত্রণও দারুণভাবে নিয়েছিল সেলেসাওরা। দারুণ সব আক্রমণ করলেও গোলের দেখা মিলছিল না কিছুতেই। পেরুর গোলরক্ষক পেড্রো গ্যালেসেই এদিন ব্রাজিলের আক্রমণভাগের সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছিলেন। একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়ে পেরুকে ম্যাচে ধরে রেখেছিলেন এই গোলরক্ষকই। তাঁর বিশ্বস্ত হাত ব্রাজিলের বিপক্ষে করেছে মোট সাতটি সেভ, যার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৩টি আর ডি-বক্সের ভেতর থেকে করেছেন ৫টি সেভ।

অষ্টম মিনিটে পায় প্রথম ভালো সুযোগ। ডি-বক্সে পাকুয়েতার চমৎকার পাস ধরে রিশার্লিসন খুঁজে নেন নেইমারকে। পিএসজি ফরোয়ার্ডের 

পাঁচ মিনিট পর বুলেট গতির ফ্রি-কিকে চেষ্টা করেন কাসেমিরো। সোজা আসা বল ঠিক মতো গ্লাভসে জমাতে পারেননি গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সুযোগ নিতে পারেননি এভেরতন। 

১৯তম মিনিটে আবার দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন কাসেমিরো। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। পরমুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডারের দারুণ ফ্লিকে বল ধরে পাকুয়েতা বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে; ওখানে নেইমারের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর রিশার্লিসনের ফিরতি শটও রুখে দেন গোলরক্ষক। 

৩৫তম মিনিটে আর ব্রাজিলকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি পেরু। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান নেইমার। পায়ের কারিকুরিতে সঙ্গে লেগে থাকা তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে খুঁজে নেন অরক্ষিত পাকুয়েতাকে। বাকি অনায়াসে সারেন তিনি। কোয়ার্টার-ফাইনালেও দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন অলিম্পিক লিওঁর এই মিডফিল্ডার। 

পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে নেইমারের ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অরক্ষিত এভেরতন। 

ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার হাতে নেইমার

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে মনোযোগ দেয় পেরু। প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নেয় ব্রাজিল। ৫০তম মিনিটে সমতা ফেরানোর ভালো একটা সুযোগ পায় পেরু। কিন্তু এদেরসন ছিলেন পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে। 

নিজেদের অর্ধ থেকে ইয়োশিমার ইয়োতুনের বাড়ানো বল ধরে ডি বক্স থেকে শট নেন জানলুকা লাপাদুলা। ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান এদেরসন। ফিরতি বল ক্লিয়ার করেন ব্রাজিলের এক খেলোয়াড়। 

৬১তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে এদেরসনের পরীক্ষা নেন রাসিয়েল গার্সিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়ে এবারও জাল অক্ষত রাখেন ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক। 

প্রতি আক্রমণ থেকে ভীতি ছড়াচ্ছিল ব্রাজিল। কিন্তু সেভাবে পেরু গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারছিল না। 

৮১তম মিনিটে সমতা ফেরানোর আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করে পেরু। ইয়োতুনের ফ্রি কিকে সবার উঁচুতে লাফিয়ে হেড করেন আলেকসান্দার কায়েন্স। কিন্তু বল ছিল না লক্ষ্যে। বেঁচে যায় ব্রাজিল। 

বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পেরু। জাল অক্ষত রেখে শিরোপা ধরে রাখার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যায় ব্রাজিল। 

আগামী ১১ জুলাই মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আসরের ফাইনাল। সেদিন আর্জেন্টিনা অথবা কলম্বিয়াকে মোকাবিলা করবে ব্রাজিল। এই দুই দল আগামীকাল বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পরস্পরের মুখোমুখি হবে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।