এপ্রিল ২২, ২০২২ ০৯:৩০ Asia/Dhaka

মাহে রমজান রহমত বরকতময় সংযম -সাধনার মাস,/প্রতি রাতে ক্ষমা পায় মহান আল্লাহ্ র কত পাপিষ্ঠ দাস। …পবিত্র কুরআনকে একত্রে ধারণ করেছিল এই মাসেরই কদরের রাত্র,/ইবাদত করে বান্দাহ যেন পূর্ণ করতে পারে আকাশ জমীনের পাত্র। (কবি ফাতেমা জাহান)

শবে ক্বদর পবিত্র রমজানে মহান আল্লাহর সবচেয়ে বড় উপহার। আত্মশুদ্ধির মহোৎসবের মাস রমজানের এই রাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাত। আত্মশুদ্ধির সাধনা ও খোদাপ্রেমের আকুতিকে পূর্ণতা দেয়ার রাত হল এই মহিমান্বিত রাত। অতি অল্প আমল বা সৎকর্মের বিনিময়ে হাজার গুণ বা তারও বেশি প্রতিদান লাভের রাত হল এই সুবর্ণ রাত। খোদাপ্রেমের পূর্ণতা অর্জনের এই রাত যেন বৃথা না যায়।

ক্বদরের রাত যে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম, মহান প্রতিপালক একথার মধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন ?- এই প্রশ্নের উত্তরে ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন: তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে শবে ক্বদরের রাতে নামায, যাকাত ও অন্যান্য নেক আমলগুলো অন্য সময়ের এক হাজার মাসের আমলগুলোর চেয়েও উত্তম মহান প্রতিপালক যদি মুমিন বান্দাদের নেক আমলগুলোর প্রতিদান এভাবে বাড়িয়ে না দিতেন তাহলে বান্দারা অন্য কোনো ভাবে উচ্চ মাকামে পৌঁছাতে পারত না আর এজন্যেই মহান প্রভু তাদের নেক আমলের প্রাপ্তি বহুগুণ বাড়িয়ে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন যাতে পরকালে তারা সফলতা অর্জন করতে পারেন। [তাফসিরুল মিজান, ২০তম খণ্ড, ৫৬৭ পৃষ্ঠা] তাই কোন ব্যক্তি যদি এমন একটি রাতে দুহাত তুলে মুনাজাত করেন তাহলে তিনি আশি বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রার্থনায় দণ্ডায়মান ছিলেন বলে ধরা হবে মহিমান্বিত প্রতিপালক যখন দেখবেন এমন এক বান্দা যে বুকে আশা নিয়ে এই দীর্ঘক্ষণ হাত তুলে দরবারে আকুতি-মিনতি জানাচ্ছে তখন তার হাত কিভাবে তিনি ফিরিয়ে দেবেন ? বরং তিনি ঐ বান্দার প্রার্থনা মঞ্জুর করে নিবেন এবং তাকে মহান প্রভুর অনুগ্রহ থেকে কখনো নিরাশ করবেন না।

লাইলাতুল ক্বদর মহান আল্লাহর বিশেষ উপহারের রজনী আল্লাহর যেসব বান্দা তাদের ইবাদত ও অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহর সুদৃষ্টি অর্জনে সক্ষম হবেন তাঁরাই ঐ বিশেষ উপহার পাবেন। যে উপহার সামগ্রী তাদের সমস্ত জীবনের ত্রুটি-বিচ্যুতি গুলো মুছে আপন  সত্তাকে  তার অবস্থানুযায়ী পরিপূর্ণতায় ভরে দিবেন এই পূর্ণতা দান বা কামালিয়াত প্রাপ্তি একমাত্র লাইলাতুল ক্বদর দ্বারা সম্ভব লাইলাতুল ক্বদর নামক এই বিশেষ খোদায়ি উপহারটি একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (সা:)'র উম্মাহকে মহান প্রতিপালক দান করেছেন ইসলাম পূর্ব যুগের মানুষেরা এই উপহার থেকে বঞ্চিত ছিলেন।

আজ বিশে রমজান। অনেকেই মনে করেন আজকের রাত তথা ২০ রমজানের দিবাগত রাতটি পবিত্র শবে ক্বদর। অনেকে ২৩ রমজানের রাতকেই শবে কদর বলে মনে করেন। আবার অনেকে ২৭ রমজানকে শবে কদর বলে মনে করেন। রমজানের শেষ দশ দিনের যে কোনো বেজোড় রাতই কদরের রাত হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন এবং তারা এইসব রাতেই বেশি বেশি ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামী জ্ঞান চর্চা করেন। শবে কদরের রাতে  দোয়ায়ে ইফতেতাহ, দোয়ায়ে আবু হামজা সোমালি, দোয়ায়ে জওশান কবির ও জওশান সগির, দোয়ায়ে কুমাইল, মুনাজাতে মাসজিদে কুফা নামক ইমাম আলীর দোয়া এবং জিয়ারতে আশুরা পড়াকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন অনেকেই। 

বিশে রমজানের রাত তথা একুশে রমজান আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ.)'র শাহাদত-বার্ষিকী। একুশে রমজান পৃথিবী হারিয়েছিল বিশ্বনবী-(সা.)'র শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ও শ্রেষ্ঠ অনুসারীকে, হারিয়েছিল বিশ্বনবী-সা:'র জ্ঞান-নগরীর মহা-তোরণকে, হারিয়েছিল রাসূল (সা:)'র পর সবচেয়ে দয়ালু ও উদার আত্মার অধিকারী মানুষ এবং হেদায়াতের উজ্জ্বলতম প্রদীপকে। সেদিন মুসলিম বিশ্ব তার অত্যন্ত দুঃসময়ে হারিয়েছিল সাধনা ও আধ্যাত্মিক পূর্ণতার সর্বোত্তম আদর্শকে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা:)'র নিজ হাতে গড়ে তোলা ইসলামের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি ও সবচেয়ে আপোষহীন নেতাকে। কিন্তু অকাল-মৃত্যু সত্ত্বে আমীরুল মু'মিনীন হযরত আলী (আঃ)র শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের স্বর্গীয় আলোকোজ্জ্বল প্রভা যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পরতে পরতে আদর্শ মুমিনের কর্মতৎপরতার গভীরে অতুলনীয় ও ক্রমবর্ধমান প্রভাব সৃষ্টি করে চলেছে। সেই আমীরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আঃ)'র শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সবার প্রতি আমরা জানাচ্ছি অশেষ সমবেদনা।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর মতে,

আলী (আ.) ছিলেন যুবকদের জন্য বীরত্ব ও সাহসিকতার আদর্শ, সরকার-প্রধানদের জন্য ন্যায়বিচারের আদর্শ, ইবাদত, খোদা-প্রেম ও ভারসাম্যপূর্ণ অনাড়ম্বর জীবনের জন্য সব মুমিন মুসলমানের জন্যই আদর্শ। তাঁর মুক্তিকামিতা বিশ্বের সব মুক্তিকামীর আদর্শ এবং প্রজ্ঞাময় বক্তব্য ও চিরস্মরণীয় উপদেশগুলো আলেম, বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের জন্য আদর্শ।

আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) ছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব নদী-দখলকারী শত্রুরা যার বাহিনীর জন্য নদীর পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করলে সেই শত্রুদের পরাজিত করার পরও তিনি ওই নদীর পানি কোনো শত্রুর জন্য নিষিদ্ধ করেননি। জালিমদের বিরুদ্ধে আলী (আ.) সবচেয়ে কঠোর হলেও তিনি ব্যক্তিগত ক্রোধের বশে নয় বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাদের ওপর আঘাত হানতেন।

সিফফিনের যুদ্ধের প্রাক্কালে উভয়পক্ষের লোকক্ষয় এড়ানো ও বিদ্রোহীদের সুপথে আনার জন্য হযরত আলী এত বেশী অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছিলেন যে, সে সময় শত্রুরা এ প্রচারণা চালিয়েছিল যে মহাবীর আলী (আ.) মৃত্যুকে ভয় পান! অথচ শিশুর কাছে মাতৃস্তন যতটা প্রিয় শাহাদত ছিল আলীর কাছে তার চেয়েও বেশি প্রিয়।

হযরত আলী (আঃ) ছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব যার সম্পর্কে রাসূলে পাক (সা:) বলেছেন, মুসার সাথে হারুনের যে সম্পর্ক তোমার সাথে আমার সেই সম্পর্ক, শুধু পার্থক্য হল হারুন (আঃ) নবী ছিলেন, তুমি নবী নও। 

রাসূল (সা.)আরও বলেছেন, " আমি জ্ঞানের নগরী, আলী তার দরজা, যে কেউ আমার জ্ঞানের মহানগরীতে প্রবেশ করতে চায় তাকে এ দরজা দিয়েই আসতে হবে"।

মহানবী (সা:) আরো বলেছেন:হে আম্মার! যদি দেখ সমস্ত মানুষ একদিকে চলে গেছে, কিন্তু আলী চলে গেছে অন্য দিকে, তবুও আলীকে অনুসরণ কর, কারণ, সে তোমাকে ধ্বংসের দিকে নেবে না।

বিশ্বনবী (সা:) আরো বলেছেন:

* আমি আলী থেকে, আর আলী আমার থেকে, যা কিছু আলীকে কষ্ট দেয়, তা আমাকে কষ্ট দেয়, আর যা কিছু আমাকে কষ্ট দেয় তা আল্লাহকে কষ্ট দেয়।

* হে আলী! ইমানদার কখনও তোমার শত্রু হবে না এবং মোনাফেকরা কখনও তোমাকে ভালবাসবে না। অনেক সাহাবী এ হাদিসের ভিত্তিতেই মোনাফেকদের সনাক্ত করতেন।  মহানবীর বক্তব্য অনুযায়ী হযরত আলীকে ভালোভাবে কেবল চিনতেন মহান আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ রাসুল এবং আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ নবীকেও সবার চেয়ে ভালোভাবে চেনেন আলী-আ।

রাসূলে পাক (সা:)'র স্ত্রী আয়শা বিনতে আবুবকর  হযরত আলী (আঃ)'র শাহাদতের খবর শুনে বলেছিলেন,"হে রাসূল! তোমার সবচেয়ে প্রিয়পাত্র শাহাদত বরণ করেছেন। আজ এমন এক ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন যিনি ছিলেন রাসূল (সা:)'র পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ।"

ওয়াশিংটন আরভিং বলেছেন, "সব ধরনের নীচতা ও কৃত্রিমতা বা মিথ্যার বিরুদ্ধে আলী (আ.)'র ছিল মহত সমালোচনা এবং আত্মস্বার্থ-কেন্দ্রিক সব ধরনের কূটচাল থেকে তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন।"

ঐতিহাসিক মাসুদির মতে, রাসূল (সা.)'র চরিত্রের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল যার ছিল তিনি হলেন আলী (আ.)

শাহাদত-প্রেমিক আলী(আ.) যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত, তাঁর সঙ্গীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সবাই কাঁদছে, চারিদিকে ক্রন্দনের শব্দ, কিন্তু আলী (আ.)-এর মুখ হাস্যোজ্জ্বল। তিনি বলছেন,আল্লাহর শপথ! আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম কি হতে পারে যে, ইবাদতরত অবস্থায় শহীদ হব?”

ঘাতকের প্রাণঘাতী আঘাতে ধরাশায়ী আমিরুল মু'মিনিন এ ঘটনা নিয়ে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি বা অবিচার না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন,

আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানেরা তোমরা এমন যেন না কর, যখন আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নেব তখন মানুষের উপর হামলা করবে এ অজুহাতে যে, আমীরুল মু'মিনীনকে শহীদ করা হয়েছে। অমুকের এটার পেছনে হাত ছিল, অমুক এ কাজে উৎসাহিত করেছে। এসব কথা বলে বেড়াবে না, বরং আমার হত্যাকারী হল এই ব্যক্তি।

আলী (আ.) ইমাম হাসান (আ.)-কে বলেছিলেন, বাবা হাসান! আমার মৃত্যুর পর যদি চাও আমার হত্যাকারীকে মুক্তি দেবে তাহলে মুক্তি দিও, যদি চাও কিসাস গ্রহণ করবে তাহলে লক্ষ্য রাখবে, সে তোমার পিতাকে একটি আঘাত করেছে, তাকেও একটি আঘাত করবে। যদি তাতে মৃত্যুবরণ করে তো করল, নতুবা ছেড়ে দেবে।

তারপর আবার বন্দির চিন্তায় মগ্ন হলেন আলী (আ.) বন্দিকে ঠিক মতো খেতে দিয়েছ তো? পানি দিয়েছ খেতে? ঠিক মতো দেখাশোনা কর ওর। কিছু দুধ তাঁর জন্য আনা হলে কিছুটা খেয়ে বললেন, বাকীটা বন্দিকে দাও। 

হযরত আলী (আঃ) নিজেকে সব সময় জনগণের সেবক বলে মনে করতেন এবং সব সময় অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। দ্বিতীয় খলিফা বলেছেন, আলী ইবনে আবি তালিবের মতো আরেকজনকে জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নারীকুলের কারো নেই, আলী না থাকলে ওমর ধ্বংস হয়ে যেত। জীরার ইবনে হামজা তাঁর প্রিয় নেতার গুণাবলী তুলে ধরতে গিয়ে বলেছিলেন, "আলীর ব্যক্তিত্ব ছিল সীমাহীন, তিনি ক্ষমতায় ছিলেন দোর্দণ্ড, তাঁর বক্তব্য ছিল সিদ্ধান্তমূলক, তাঁর বিচার ছিল ন্যায়-ভিত্তিক, সব বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ছিল, তাঁর প্রতিটি আচরণে প্রজ্ঞা প্রকাশিত হত। তিনি মোটা বা সাদামাটা খাদ্য পছন্দ করতেন এবং অল্প দামের পোশাক পছন্দ করতেন। আল্লাহর কসম, তিনি আমাদের একজন হিসেবে আমাদের মাঝে ছিলেন, আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতেন, আমাদের সকল অনুরোধ রক্ষা করতেন। তাঁর প্রতি সশ্রদ্ধ অনুভূতি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে সম্বোধন করে কিছু বলতে ও প্রথমে কথা বলতে আমরা ভয় পেতাম না। তাঁর হাসিতে মুক্তা ছড়িয়ে পড়তো।

জীরার ইবনে হামজা তাঁর প্রিয় নেতা আমিরুল মুমিনিন সম্পর্কে বলেছেন:

 তিনি ধার্মিকদের খুব সম্মান করতেন। অভাবগ্রস্তের প্রতি খুবই দয়ালু ছিলেন। এতিম, নিকট আত্মীয় ও অন্নহীনকে খাওয়াতেন। তিনি বস্ত্রহীনে বস্ত্র দিতেন ও অক্ষম ব্যক্তিকে সাহায্য করতেন। তিনি দুনিয়া ও এর চাকচিক্যকে ঘৃণা করতেন। আমি আলী ইবনে আবি তালিবকে গভীর রাতে বহুবার এ অবস্থায় মসজিদে দেখেছি যে তিনি নিজ দাড়ি ধরে দাঁড়িয়ে এমনভাবে আর্তনাদ করতেন যেন সাপে কামড় খাওয়া মানুষ এবং শোকাহত লোকের মতো রোদন করে বলতেন, হে দুনিয়া, ওহে দুনিয়া, আমার কাছ থেকে দূর হও! আমাকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করো না!" 

হযরত আলী (আঃ)' বলেছেন, 'বাহ্যিক অলংকার ও পোশাক-পরিচ্ছদ সৌন্দর্য নয়, সৌন্দর্য হল-জ্ঞান ও সভ্যতা। যার পিতা-মাতা মারা গেছে সে এতীম নয়, প্রকৃত এতীম সে যার মধ্যে জ্ঞান ও বিবেক নেই।' মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হযরত আলীর জীবন থেকে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষাগুলো নেয়ার তৌফিক দান করুন। আমিরুল মুমিনিনের শাহাদাত উপলক্ষে সবাইকে আবারও জানাচ্ছি গভীর শোক ও সমবেদনা। 

এবারে শোনা যাক অর্থসহ ২০ তম রমজানের দোয়া:

পার্সটুডে/এমএএইচ/মো.আবুসাঈদ/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।