নির্বাচন
‘গরীব মানুষের কথা ভেবে’ নির্বাচন করছেন ভিক্ষুক লেদু'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৭ ডিসেম্বর শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি মুজাহিদুল ইসলাম/ আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
- ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধে ঢাকায় বিএনপির গণমিছিলের তারিখ পেছাল-প্রথম আলো
- আগামী বছরই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ-গুনতে হবে দেড় হাজার কোটি ডলার-যুগান্তর
- ঢাকায় একটি পরিবারের খাবারে ব্যয় মাসে ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা: সিপিডি-মানবজমিন
- ‘গরীব মানুষের কথা ভেবে’ নির্বাচন করছেন ভিক্ষুক -ইত্তেফাক
- নির্মাণ ব্যয় পাঁচ কোটি টাকা, সেতুতে উঠতে হয় কাঠের সিঁড়ি বেয়ে -কালের কণ্ঠ
- উন্নয়নের নামে সরকার মানুষকে কবর দিয়েছে: কর্নেল অলি -বাংলাদেশ প্রতিদিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- ‘এটা নেহরুর ভারত নয়’, ‘৬২-র যুদ্ধে হারের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি নেতার-সংবাদ প্রতিদিন
- বিলকিসের আর্জি খারিজ, ১১ ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট- আনন্দবাজার পত্রিকা
- যুদ্ধ থামান, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন, পুতিনকে ফোনে বললেন মোদি-আজকাল
- বিষাক্ত মদপানে ৬৫ জনের মৃত্যু -এএএনআই/এনডিটিভি
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
বিএনপি কোমর বেঁধে সেই চেষ্টা করেছিল: ওবায়দুল কাদের-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ নেই। তবে বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞায় ফেলতে ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু। বিএনপি তদবির করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করে। যুক্তরাষ্ট্র যাতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। বিএনপি কোমর বেঁধে সেই চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হননি। তিনি আজ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছে। পদ্মা সেতু, মেট্ররেল, রাস্তা-ঘাট করেছি আমরা।
তবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, কর্নেল অলি বলেছেন-উন্নয়নের নামে সরকার মানুষকে কবর দিয়েছে। আর বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতা দেখতে চায় না। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব বিদায় করবে।
ঢাকায় একটি পরিবারের খাবারে ব্যয় মাসে ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা: সিপিডি-মানবজমিন
রাজধানী ঢাকায় চার সদস্যের একটি পরিবারের খাবারের পেছনে প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা। আর খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিয়ে ছোট করলে ব্যয় দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা। কিন্তু নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের যে আয় তা দিয়ে খাদ্যপণ্য কিনে টিকে থাকা কঠিন।মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে দেশের স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম।লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন আমিষ।মাছ-মাংস বাদ দিলেও খাদ্যের পেছনে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা। এটা ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ বা আপসের খাদ্যতালিকা।মাছ-মাংস বাদ দিলেও খাদ্যের পেছনে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা। এটা ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ বা আপসের খাদ্যতালিকা।প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির লাগামহীন অবস্থার কারণে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির অব্যাহত চাপ, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা, দেশীয় মুদ্রামানের পতন, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে আসা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্য ও শিল্পপণ্যের দাম বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন ইত্যাদি।
আগামী বছরই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ-গুনতে হবে দেড় হাজার কোটি ডলার-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,আগামী বছরই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ চাপ আসছে। এ বছরই সবচেয়ে বেশি প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধ করতে হবে ১২৭০ কোটি ডলার। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ শোধ করতে হবে ২১৫ কোটি ডলার। দুই খাতের ঋণ পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়বে। এখন নতুন ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিলে এরপর থেকে পরিশোধের চাপ কমে যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, মোট বৈদেশিক ঋণ ৯৫০০ কোটি ডলার। যা মোট জিডিপির ২২ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি খাতে ৬৭৮৯ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতে ২৭০০ কোটি ডলার। সরকারি খাতের বেশির ভাগ ঋণই দীর্ঘমেয়াদি। যে কারণে ঝুঁকি কম। বেসরকারি খাতে ঋণের বেশির ভাগই স্বল্পমেয়াদি। যে কারণে ঝুঁকি বেশি।
বর্তমানে স্বল্পমেয়াদি ঋণ রয়েছে ১৬০০ কোটি ডলার। যা আগামী বছরের মধ্যে পরিশোধের কথা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আগামী ছয় মাস অর্থ ব্যয়ে কঠোর বার্তা-যুগান্তর
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে বরাদ্দের বাইরে সরকার অতিরিক্ত কোনো অর্থ দেবে না। অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) অনুমোদনবিহীন নতুন কোনো প্রকল্পের জন্য টাকাও চাওয়া যাবে না।
এ ছাড়া প্রকল্পের অব্যয়িত অর্থ ব্যয় দেখানো যাবে না অন্য কোনো খাতে। সাশ্রয়ের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাদ দিয়ে প্রকল্পের সংখ্যাও কমাতে হবে। প্রয়োজনে ধীরগতির প্রকল্প থেকে অর্থ কেটে দ্রুতগতির জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে যোগান দিতে হবে। অর্থ বিভাগ থেকে ১৩ ডিসেম্বর এ ধরনের নির্দেশনাসহ আরও বেশ কিছু নীতি ও গাইডলাইন দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়। দৈনিকটির অপর এক প্রতিবেদনের শিরোনাম- দুর্নীতি অর্থ-পাচার-রোধ-ও-সুশাসন-জরুরি।

‘গরীব মানুষের কথা ভেবে’ নির্বাচন করছেন ভিক্ষুক-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ইউপি নির্বাচনে ভোটের সময় হলে প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে আসেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হলে দেখা যায় তার উল্টো। গরীবরা কিছু পায় না। বড়লোকদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দেন জনপ্রতিনিধিরা। সেই ক্ষোভ থেকেই গরীব মানুষের কথা ভেবে আমি মেম্বার প্রার্থী হয়েছি।’ কথাগুলো বলছিলেন একজন ইউপি সদস্য প্রার্থী। এদিকে, নির্বাচনী এলাকাতে সকাল-সন্ধ্যায় গণসংযোগসহ প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন জলিল। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুঠে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। আবার অনেকেই প্রার্থী হিসেবে বাঁকা চোখে দেখছেন তাকে। এসবের কিছুই পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আবদুল জলিল।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
বিলকিসের আর্জি খারিজ, ১১ ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট-আনন্দবাজার পত্রিকা
বিলকিস বানোর আর্জি খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। ১১ জন ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জিতে রাজি হল না দেশের শীর্ষ আদালত। বিলকিসের ধর্ষকদের সাজার মেয়াদ শেষের আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয় বিলকিসের তরফে। শীর্ষ আদালতের কাছে বিলকিসের আইনজীবী শোভার দাবি ছিল, ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুতর অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির পুনর্বিবেচনা করা হোক। শনিবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। এর পরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শীর্ষ আদলত। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় দেশ জুড়ে। কেন মেয়াদ শেষের আগে ১১ জন ধর্ষক ও খুনিকে ছাড়া হল, এ নিয়ে বিতর্ক বাধে।
বিতর্কের মধ্যেই গুজরাত সরকার জানায় যে, জেলে ওই ১১ জন ধর্ষক ও খুনি ‘ভাল আচরণ’ করেছেন, সে কারণেই তাঁদের সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে। যদিও প্রতিপক্ষ দাবি করে, ওই ১১ জন বিভিন্ন সময় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যখন জেলের বাইরে ছিলেন, তখনও তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল।
‘এটা নেহরুর ভারত নয়’, ‘৬২-র যুদ্ধে হারের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি নেতার-সংবাদ প্রতিদিন
চিন (China) যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, এদিকে মোদি সরকার ঘুমোচ্ছে। কতকাল এই ভাষাতেই সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার পালটা ১৯৬২-র চিন যুদ্ধে হার, প্রপিতামহ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) নাম তুলে রাহুলকে তোপ দাগল বিজেপি (BJP)। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর (Rajyavardhan Singh Rathore) বলেন, রাহুল গান্ধী চিনের এতটাই কাছে পৌঁছে গিয়েছেন যে তিনি বুঝে যাচ্ছেন, চিন এবার কী করবে।
কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা বর্তমানে রাজস্থানে পৌঁছেছে। সেখানে দউসা জেলায় ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে পাশে বসিয়ে শুক্রবার রাহুল দাবি করেন, ‘‘অনুপ্রবেশ নয়, বরং যুদ্ধের ছক কষছে চিন। যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে ওরা।” রাহুল অভিযোগ করেন, “আমাদের সরকার তা (এই পরিস্থিতি) মানতে চাইছে না।’’ তিনি বলেন, “চিন আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সেনাকে মারছে। চিনের বিপদ এখন আর গোপন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু সরকার দেখেও দেখছে না।” কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, “চিন লাদাখ ও অরুণাচলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ভারত সরকার ঘুমোচ্ছে!”
চিন (China) যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, এদিকে মোদি সরকার ঘুমোচ্ছে। কতকাল এই ভাষাতেই সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার পালটা ১৯৬২-র চিন যুদ্ধে হার, প্রপিতামহ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) নাম তুলে রাহুলকে তোপ দাগল বিজেপি (BJP)। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর (Rajyavardhan Singh Rathore) বলেন, রাহুল গান্ধী চিনের এতটাই কাছে পৌঁছে গিয়েছেন যে তিনি বুঝে যাচ্ছেন, চিন এবার কী করবে।
কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা বর্তমানে রাজস্থানে পৌঁছেছে। সেখানে দউসা জেলায় ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে পাশে বসিয়ে শুক্রবার রাহুল দাবি করেন, ‘‘অনুপ্রবেশ নয়, বরং যুদ্ধের ছক কষছে চিন। যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে ওরা।” রাহুল অভিযোগ করেন, “আমাদের সরকার তা (এই পরিস্থিতি) মানতে চাইছে না।’’ তিনি বলেন, “চিন আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সেনাকে মারছে। চিনের বিপদ এখন আর গোপন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু সরকার দেখেও দেখছে না।” কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, “চিন লাদাখ ও অরুণাচলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ভারত সরকার ঘুমোচ্ছে!”
সন্ধ্যার আকাশে অদ্ভুত আলো, প্রশ্নের জবাবে কী বলছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা-আনন্দবাজার পত্রিকার
কলকাতা থেকে জেলা, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আকাশে আচমকা দেখা গেল অদ্ভুত আলো। আর তা ঘিরেই ঘনাচ্ছে রহস্য। ওই আলো ঘিরে সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর মতে, এই আলোর ৩টি কারণ থাকতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ওই আলো দেখা গিয়েছে আকাশের দক্ষিণ দিকে। তার মতে, প্রথমত এই আলো উল্কাপাতের কারণে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘এখন উল্কাবৃ্ষ্টি হচ্ছে। তবে সেটা সন্ধ্যা নয়, রাত ১২টা নাগাদ হয়। কিন্তু, এটা দেখে মনে হচ্ছে আলোর আকার কিছুটা বড়। এটা যে জেমিনিড শাওয়ার নয় সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’’
তার মতে, ‘‘এটা রকেটের কোনও অংশ হতে পারে।’’ তিনি জানিয়েছেন, আলোটি বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে, কোনও রকেটের জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছে। তারই একটি ছোট অংশ পৃথিবীর দিকে আসছে। সেই অংশটি আকারে ছোট বলেই তার আলো তত উজ্জ্বল।’’
তৃতীয় একটি সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন সন্দীপ। তাঁর মতে, ‘‘কোনও জায়গা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়ে থাকতে পারে। তারও আলো হতে পারে এটা।’’ তাঁর মতে, ক্ষেপণাস্ত্র হলে সে ক্ষেত্রে আলো দিকচক্রবালে মিলিয়ে যাওয়ার আগে অনেক বেশি ক্ষণ ধরে দেখা যাওয়ার কথা। ফলে আলোর উৎস ঘিরে রহস্য থাকছে বলেই সন্দীপের মত। তিনি আরও জানাচ্ছেন, এই আলো মিলিয়ে যাওয়া তখনই সম্ভব যখন ক্ষেপণাস্ত্র ধীরে ধীরে আমাদের দৃষ্টিপথের বাইরে চলে যায়।
লাদেনের সঙ্গে তুলনা! রাষ্ট্রপুঞ্জে বেনজির-পুত্রের বেনজির ব্যক্তি আক্রমণ মোদীকে, প্রতিবাদ দিল্লির-আনন্দবাজার পত্রিকা
রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে ব্যক্তি আক্রমণের বিরল নজির গড়লেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনের তুলনা করলেন তিনি।
প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং সে দেশের নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাবল শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাতের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’’ পাক মন্ত্রীর ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর মানসিক দেউলিয়াপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে।’ নয়াদিল্লির পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির যুব মোর্চা।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনা এবং আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে অ্যাবোটাবাদে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিঁধেছিলেন ইসালামাবাদকে। তারই প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার এই মন্তব্য করেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত ওঁর এই দেশের মাটিতে প্রবেশাধিকার ছিল না।’’
ধর্ষণরোধী জুতো বানাল কর্নাটকের দশম শ্রেণির ছাত্রী, কী ভাবে কাজ করে এই জুতো-আনন্দবাজার পত্রিকা
ধর্ষণ রুখতে পারে এমন জুতো বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন কর্নাটকের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বিজয়লক্ষ্মী বিরাদর নামে ওই ছাত্রী কর্নাটকের কালবুর্গির একটি স্কুলে পড়ে। তাঁর দাবি, এই জুতো ধর্ষণকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে মেয়েদের।
কী ভাবে কাজ করবে এই জুতো?
বিজয়লক্ষ্মী জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি কোনও মেয়েকে যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করেন, তার হাত থেকে বাঁচতে ওই জুতো দিয়ে হামলাকারীকে লাথি মারলে তাতে সৃষ্ট বিদ্যুতের ঝটকা লাগবে তাঁর। জুতোয় লাগানো ব্যাটারি থেকে সেই বিদ্যুৎ সৃষ্টি হবে। যিনি জুতো পরে থাকবেন, এ ক্ষেত্রে তার কোনও ক্ষতি হবে না, বরং হামলাকারীকে বিদ্যুতের ঝটকা দেবে এই জুতো। তাতে হামলাকারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অনেক সহজ হবে বলেই দাবি বিজয়লক্ষ্মীর।

এক শিক্ষক জানিয়েছেন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় এই জুতো নিয়ে কাজ করা শুরু করে বি বিজয়লক্ষ্মী। এই কাজের জন্য বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছে সে। তাঁর এই প্রকল্পের জন্য সম্প্রতি গোয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ইনভেনশন অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো পুরস্কার পেয়েছে বিজয়লক্ষ্মী।
ভারতের মদপানে ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই ও এনডিটিভি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের সরন জেলার চাপরায় বিষাক্ত মদপানে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটির দুই গ্রামে বিষাক্ত মদপানে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যদিও ২০১৬ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে মদ বিক্রি ও পান নিষিদ্ধ। তবে এরপরও মদ বিক্রি ও পান চলছে বলে অভিযোগ।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৭