কথাবার্তা: 'বেগমপাড়ার সাহেবদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- নারী উদ্যোক্তাদের সূচকে তলানিতে বাংলাদেশ-দৈনিক ইত্তেফাক
- বেগমপাড়ার সাহেবদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী'
- আওয়ামীতন্ত্র প্রতিহত না করলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরবে না’-গয়েশ্বর চন্দ্র রায় -দৈনিক যুগান্তর
- মুদ্রা পাচার: কানাডার সরকারি সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশি কতজন?–প্রথম আলো
- ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- করোনা: পরিস্থিতি দেখে কঠোর সিদ্ধান্ত-কাদের-দৈনিক মানবজমিন
- মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা -কালের কণ্ঠ
ভারতের শিরোনাম:
- কোভিড রুখতে কেন্দ্রের সঙ্গেই কাজ করবে রাজ্য, মোদীকে বললেন মমতা, দরবার বকেয়া অর্থেরও-আনন্দবাজার পত্রিকা
- আবারও সফল পরীক্ষা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিখুঁত ভাবে লক্ষ্যভেদ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
- লাভ আর জেহাদ একসঙ্গে কখনও হাতে হাত ধরে চলতে পারে না: নুসরৎ জাহান -দৈনিক আজকাল
পাঠক/শ্রোতা! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
গোল্ডেন মনিরের ৬১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক-দৈনিক ইত্তেফাক

২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনিরের ৬১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বর্তমানে রিমান্ডে থাকা ব্যবসায়ী গোল্ডেন মনিরকে শুক্রবার দিবাগত রাতে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারের পর অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী গ্রেফতার মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়ে। সেই সঙ্গে বিদেশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। এ তিন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে রবিবার অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত রাতে মেরুল বাড্ডায় মনির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। ছয় তলা বিলাসবহুল ওই বাড়ি থেকে নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, এছাড়া ৯ লাখ টাকা মূল্যমানের ১০টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল এবং কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
বেগমপাড়ার সাহেবদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী'-দৈনিক যুগান্তর

'বেগমপাড়ার সাহেবদের ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদককে এ ব্যাপারে সার্বিক তদন্ত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, কানাডার বেগমপাড়ায় যারা অর্থপাচার করেছেন, তাদের মধ্যে সরকারি আমলার সংখ্যা বেশি। বিষয়টি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নজরে আনার পর থেকেই সক্রিয় হয়েছে সরকার। মুদ্রা পাচার: কানাডার সরকারি সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশি কতজন?-কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগরের নিবন্ধটি ছাপা হয়েছে দৈনিক প্রথম আলোতে। এতে বলা হয়েছে,
ম্যানসন আকৃতির আলিশান বাড়ির সামনে ড্রাইভওয়েতে হাল মডেলের দামি গাড়ি আর পেছনে নোঙর করা ব্যক্তিগত স্পিডবোট। বাড়ির পেছন দিয়ে বের হয়েই ব্যক্তিগত বোটে লেকে ঘুরে আসা যায়। কিংবা ড্রাইভওয়েতে পার্ক করে রাখা অতি দামি গাড়ি নিয়ে শাঁই শাঁই করে ছুটে যাওয়া যায় যেকোনো দিকে। এমন দৃশ্যের বর্ণনা দিলে যে কেউ এটিকে কোনো সিনেমার দৃশ্য হিসেবেই বিবেচনা করবেন।
টরন্টো থেকে গার্ডিনার এক্সপ্রেস ধরে মাত্র ৪০ কিলোমিটারের দূরত্বে এমন সিনেমাটিক জীবন যাপন করছেন বেশ কিছু বাংলাদেশি। না, তাঁরা যে কানাডায় অনেক বছর ধরে আছেন, তুমুল জীবনসংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য করে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা নয়। তাঁদের অধিকাংশই কানাডায় এসেছেন গত কয়েক বছরে এবং বাড়িগুলো কেনা হয়েছে এ সময়েই। কানাডায় তাঁদের দৃশ্যমান তেমন আয়ের কোনো উৎস নেই। তাঁদের অধিকাংশই বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন বিভাগের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা। কানাডার বেগমপাড়ার চেয়েও নতুন কিছু নাম টরন্টোর বাংলাদেশিদের আড্ডায় এখন উচ্চারিত হয়। বিশেষ কয়েকটি পেশা বা বিভাগের নামে পল্লি বা পাড়া যুক্ত হয়ে নতুন উপমাগুলো বেগমপাড়াকেও ম্লান করে দিচ্ছে।
গত ৫–৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ টাকা কানাডায় এসেছে, গত কয়েক বছরেও তা আসেনি, এমন কথা এখন টরন্টোর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয়।
বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে সেগুলো ফেরত না দিয়ে কানাডায় পাচার করে আয়েশি জীবন যাপন করা বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে গত বছরের শেষের দিকে আমরা যখন সামাজিক আন্দোলন শুরু করি, তখন বাংলাদেশের সরকারি পর্যায় থেকে সেই আন্দোলনকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। রাশেদ খান মেনন অন্যান্য ইস্যুর সঙ্গে জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করলেও সংসদের আলোচনায় কিংবা মিডিয়ায় সেটি তেমন গুরুত্ব পায়নি। ঢাকায় সরকার যেমন এই বিষয়ে নীরব থেকেছে, তেমনি কানাডায় বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনসাল জেনারেল অফিস ওই আন্দোলন থেকে নিজেদের যতটা সম্ভব দূরে সরিয়ে রেখেছে।
কিন্তু এবার সরকারের খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি অর্থ পাচার নিয়ে কথা বলেছেন, সিংহভাগ পাচারকারী সরকারি কর্মকর্তা, এমন একটি মতামত দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্যের পর কানাডায় অর্থ পাচার নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), এমনকি উচ্চ আদালত পর্যন্ত এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে কানাডায় আসা লোকের সংখ্যা কতজন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। বাংলাদেশ থেকে আসা সরকারি কর্মকর্তা কিংবা ব্যবসায়ী বা রাজনীতিকমাত্রই যে অর্থ পাচারকারী, তা নয়। কিন্তু সরকারের যুগ্ম সচিব পর্যায়ে চাকরিতে থাকা কেউ যদি টরন্টোর প্রাণকেন্দ্রে দেড় থেকে দুই মিলিয়ন ডলার নগদ মূল্যে আলিশান বাড়ি কিনে ফেলেন, তখন তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখার যথেষ্ট কারণ থাকে। এটা সত্য, উত্তর আমেরিকায় ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি কেনা যায়। কিন্তু সে জন্য নির্দিষ্ট আয় থাকতে হয়। কানাডায় যাঁদের দৃশ্যমান কোনো আয় নেই, এমন কেউ নগদ ডলারে আলিশান বাড়ি কিনলে তাঁদের নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থ পাচারকারী ২৮ জনের তথ্য থাকার কথা জানিয়েছেন, যখন কানাডার ফেডারেল সংস্থা ১ হাজার ৫৮২টি মুদ্রা পাচারের তথ্য দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ২৮টি কেসের তথ্য সংগ্রহ আছে। গত বছরের শেষে টরন্টোয় লুটেরাবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের সময় বিশ্বব্যাপী মুদ্রা পাচার নিয়ে কাজ করা ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজস্টসের (আইসিআইজে) সঙ্গে জড়িত কানাডীয় কয়েকজন সাংবাদিক অনানুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেই সব আলোচনায় কানাডার প্রভাবশালী একটি পত্রিকার একজন সাংবাদিক জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে সন্দেহভাজন মুদ্রা পাচারকারী ২০০ বাংলাদেশির একটি তালিকা আছে। তালিকা ধরে তাঁরা তথ্যগুলো যাচাই–বাছাই করার কাজ করছেন।
এদিকে কানাডায় সন্দেহভাজন আর্থিক লেনদেন দেখভালের দায়িত্বে থাকা ফেডারেল সংস্থা ফিনট্র্যাক (দ্য ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশনস অ্যান্ড রিপোর্ট অ্যানালাইসিস সেন্টার অব কানাডা) মুদ্রা পাচারের ১ হাজার ৫৮২টি ঘটনা চিহ্নিত করেছে। গত এক বছর সময়ে এই পাচারের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানা যায়। সারা দেশ থেকে খুঁজে বের করা মুদ্রা পাচারকারীদের বিস্তারিত তথ্য কানাডীয় সিকিউরিটিজ ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস এবং আরসিএমপির কাছে হস্তান্তর করেছে তারা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থ পাচারকারী ২৮ জনের তথ্য থাকার কথা জানিয়েছেন, যখন কানাডার ফেডারেল সংস্থা ১ হাজার ৫৮২টি মুদ্রা পাচারের তথ্য দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের মন্ত্রীর কাছে থাকা ২৮ জনের তথ্য আর কানাডার ফিনট্র্যাকের তথ্যের মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, শেয়ারবাজারের ব্রোকার, রিয়েল এস্টেট ব্রোকারেজ এবং ক্যাসিনো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফেডারেল সংস্থাটি অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে মুদ্রা পাচারের ঘটনা উদ্ঘাটন করে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, কোভিডের মধ্যেও বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে কানাডায় আসছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে ফিনট্র্যাক বাড়তি তদন্ত শুরু করে। রিয়েল এস্টেট ব্রোকারেজগুলোয় গোয়েন্দাদের বাড়তি নজর রয়েছে বলে জানা যায়।
কোভিডে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই কানাডার অর্থনীতি প্রবল চাপের মধ্যে থাকলেও রিয়েল এস্টেট বাজার যথেষ্ট চাঙা রয়েছে। টারানেট-ন্যাশনাল ব্যাংকের ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, পুরো কানাডায় অক্টোবর মাসে বাড়ির দাম ২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বাড়ির দাম পর্যবেক্ষণের তথ্যের জন্য এই ইনডেক্সকেই গ্রহণযোগ্য সূত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অর্থনীতি চাপে থাকা সত্ত্বেও বাড়ি বাজার এত চাঙা হলো কীভাবে? কারা কিনছেন এই বাড়ি? এ নিয়ে নানা ধরনের মুখরোচক গল্প চালু আছে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। কোন সরকারি কর্মকর্তা কোথায় আড়াই মিলিয়ন ডলার (২৫ লাখ ডলার বা প্রায় ২২ কোটি টাকা) নগদ দিয়ে বাড়ি কিনলেন, কোন রাজনীতিকের মেয়ের জামাই আলিশান বাড়ি কিনেছেন, কোন টেলিভিশনের পরিচালক নিজের পছন্দ করা নকশায় দৃষ্টিনন্দন বাড়ি বানাচ্ছেন নগদ অর্থে, এসব নিয়েও তুমুল আলোচনা হয়।
গত ৫–৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ টাকা কানাডায় এসেছে, গত কয়েক বছরেও তা আসেনি, এমন কথা এখন টরন্টোর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয়। সব আলোচনা ছাপিয়ে কানাডার সরকারি সংস্থার তালিকায় কতজন বাংলাদেশি আছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তালিকাটি সেখান থেকেই পাওয়া কি না, এ নিয়ে তুমুল কৌতূহল তৈরি হয়েছে সর্বত্র।
‘আওয়ামীতন্ত্র প্রতিহত না করলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরবে না’-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়-দৈনিক যুগান্তর

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নয়, আওয়ামী-তন্ত্র চলছে। এই আওয়ামীতন্ত্র প্রতিহত না করতে পারলে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কখনোই ফিরে আসবে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা কখনও ক্ষমতার জন্য আন্দোলন করে না। তারা অন্দোলন করে মানুষের অধিকার, তাদের পেশাগত অধিকার আদায়ের জন্য। মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সরকার পরিবর্তনের জন্য তারা রাজপথে নামে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মূল ফটকের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত এক প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমনের ভালো দামেও ক্ষতি পোষাতে পারছেন না কৃষক-দৈনিক ইত্তেফাক

বন্যায় ১ লাখ ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত :কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
আমনের ভালো দাম পেলেও মুখ ভার করে গালে হাত দিয়ে ধানের বস্তার ওপরই বসে আছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব কৃষক পরান আলী। তখন মধ্যদুপুর। বেলা আড়াইটার মতো বাজে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর হাটে গত রবিবার তিনি চার বস্তা ধান নিয়ে এসেছিলেন। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ মণ। হাটে প্রচুর ক্রেতা। ক্রেতারা দামও বলছেন ভালো। ধানভেদে মণপ্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। অথচ গত বছরই এই ধান সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আর এবার মৌসুমের একেবারে শুরুতেই গতবারের চেয়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা মণে বেশি মিলছে। তাহলে মন খারাপ কেন পরান আলীর?
পরান আলী ইত্তেফাককে জানান, ধানের দাম তো ভালো, কিন্তু এবার আবাদ যে ভালো হয়নি। প্রতি বছর যেখানে বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৫ মণ ধান হয়, এবার সেখানে পাঁচ থেকে ছয় মণ ধান পেয়েছেন। কোনো কোনো জমিতে আরো কম হয়েছে। তাহলে ধানের দাম বেড়ে লাভ কি হলো? রায়গঞ্জের সারদা গ্রামের এই কৃষক বলেন, ‘নিজের অল্প কিছু জমির সঙ্গে বর্গা জমি মিলিয়ে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে এবার আমনের আবাদ করেছিলাম। কিন্তু আবাদ ভালো না হওয়ায় বর্গা জমির মহাজনের ভাগের ধান দিব কীভাবে?’
কৃষক ইব্রাহীম পড়েছেন আরো সংকটে। তার নিজের কোনো জমি নেই। যে পাঁচ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন, তার পুরোটাই মহাজনের কাছ থেকে বর্গা নেওয়া। তার আবাদ আরো খারাপ হয়েছে। ফলে তিনি মহাজনকে কিছুই দিতে পারবেন না। এ অবস্থায় মহাজন তার কাছ থেকে জমি ছাড়িয়ে নিলে একদম পথে বসে যাবেন তিনি।
এদিকে হাট শুরু হওয়ার আগে এই এলাকার তরুণ উদ্যোগী কৃষক নাজমুল জমির পর জমিতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আবাদের অবস্থা দেখালেন। জানালেন, এ বছর অতিবৃষ্টি ও শেষ সময়ে দমকা বাতাসে জমির থোড় ও কাঁচা-আধাপাকা ধান মাটিতে পড়ে যায়। এছাড়া ধানে এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণ হয়েছে। ধানে চিটা হয়ে গেছে। এটা এমন এক ছত্রাক যে, ওষুধ দিয়েও কাজ হয়নি। তরুণ এই কৃষক আক্ষেপের সুরে বলেন, জমিতে যে কী হয়েছে, কীটনাশক দিয়েও আগের মতো ভালো ফলন পাওয়া যায় না। তিনি নিজেই বলেন, নকল কীটনাশকে বাজার ভরে গেছে। নকল জিনিস ব্যবহার করলে কি আর ফলন ভালো পাওয়া যাবে?
দেশে ১০ মাসে ধর্ষণের শিকার ১৩৪৯ নারী-দৈনিক ইত্তেফাক
আজ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ শুরু

জাতীয় পর্যায়ের আইন সহায়তা এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর গত অক্টোবর পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১ হাজার ৩৪৯ জন নারী। এ সময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৬ জনকে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৭১ জনকে।
এটি অবশ্যই ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা নয়, প্রকৃত সংখ্যা অবশ্যই অনেক বেশি—এমন মনে করে ‘প্রজন্মান্তরে নারীবাদী মৈত্রী’। মৈত্রী আরো জানায়, এই সংখ্যা কেবল ৯টি জাতীয় সংবাদপত্র থেকে নেওয়া হয়েছে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের প্রথম দিন আজ থেকে নারীর প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘মুক্তির মিছিল’-এর আয়োজন করছে ‘প্রজন্মান্তরে নারীবাদী মৈত্রী’। আজ সন্ধ্যা ৭টায় মশাল মিছিল নারীপক্ষ কার্যালয় মোহাম্মদপুর থেকে শুরু হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে শেষ হবে ঝটিকা প্রতিবাদ ‘তুই ধর্ষক’ উপস্থাপনার মাধ্যমে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
কোভিড রুখতে কেন্দ্রের সঙ্গেই কাজ করবে রাজ্য, মোদীকে বললেন মমতা, দরবার বকেয়া অর্থেরও-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁর সরকার কেন্দ্র এবং অন্য সংস্থাগুলিকে সবরকম সহযোগিতা করবে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার করোনা টিকা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা মেদীকে জানান, ‘‘টিকা পেলেই দ্রুত যাতে তার বন্টন হয়, তার জন্য আমরা কেন্দ্র এবং অন্য সব সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত।’’ পাশাপাশিই তিনি জানিয়েছেন, টিকা রাখার জন্য কোল্ড চেইন-সহ যে পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা রাজ্যের রয়েছে। তবে ওই বৈঠকে রাজ্যের ‘বকেয়া অর্থ’ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
আবারও সফল পরীক্ষা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিখুঁত ভাবে লক্ষ্যভেদ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার অত্যাধুনিক ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের (BrahMos supersonic cruise missile) পরীক্ষায় সাফল্য পেল ভারত। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এই পরীক্ষা করা হয় বলে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে। এটি লক্ষ্যভেদ করতে সফল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগেই ওই ক্ষেপণাস্ত্রের একদফা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল গতমাসে। তবে চূড়ান্তভাবে তা পরখ করে নিতেই ছিল এদিনের পরীক্ষা। তাতেও মিলল সাফল্য।
লাভ আর জেহাদ একসঙ্গে কখনও হাতে হাত ধরে চলতে পারে না: নুসরৎ জাহান-দৈনিক আজকাল
লাভ–জেহাদ নিয়ে বিজেপিকে ঠুকল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার শহরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সাংসদ নুসরৎ জাহান নুসরৎ বললেন, ‘প্রেম খুব ব্যক্তিগত। প্রেম এবং জেহাদ কখনও হাতেহাত ধরে চলতে পারে না। ঠিক ভোটের আগে মানুষ এধরনের ইস্যু তোলে। এটা একটা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় কে কার সঙ্গে থাকতে চান। প্রেমে পড়ে পরস্পরকে ভালোবাসুন। ধর্মকে রাজনৈতিক যন্ত্র বানাবেন না।’
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৪
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।