এপ্রিল ০৬, ২০২১ ১৫:৪০ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৬ এপ্রিল মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • শীতলক্ষ্যায় আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৩৫-ইত্তেফাক
  • মামুনুল হকসহ ১৭ হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে মামলা-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • মামুনুলকে সমর্থন দিলেও অস্বস্তিতে হেফাজত -সমকাল
  • কোটিপতি নাইটগার্ড কাম ঝাড়ুদার – মানবজমিন
  • ঢিলেঢালা লকডাউন–যুগান্তর 
  • করোনা নিষেধাজ্ঞায় কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরছে লাখো মানুষ -কালের কণ্ঠ
  • মামুনুলের পক্ষে পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কৃত–প্রথম আলো

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • বাংলাসহ চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট, কঠিন পরীক্ষা বিজেপি-কংগ্রেসের -সংবাদ প্রতিদিন
  • আগামীদিনে আরও ভয়াবহ হবে করোনা পরিস্থিতি, রিপোর্টে প্রকাশ ভয়ঙ্কর তথ্য -আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর। 

মামুনুল হকসহ ১৭ হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে মামলা-ইত্তেফাক

মামুনুল হকসহ ১৭ হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে মামলা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে (২৬ মার্চ) বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান বাদী হয়ে মামলা করেন। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের কাছে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলার পাশাপাশি দেশব্যাপী নৈরাজ্য তৈরির পরিকল্পনার অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়েছে মামুনুলসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।মামলায় সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলার পাশাপাশি দেশব্যাপী নৈরাজ্য তৈরির পরিকল্পনার অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়েছে মামুনুলসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে বাদী আরিফ-উজ-জামান বলেন, তিনি ওয়ারী ব্যাংকিন স্ট্রিটের বাসিন্দা। গত ২৬ মার্চ তিনি বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। ফরজ নামাজ শেষে তিনি মসজিদের ভেতরে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের জুতা প্রদর্শনসহ নানা ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে দেখেন। ঐ অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে তিনি উত্তর গেটের সিঁড়িতে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজতের উগ্র মৌলবাদী ব্যক্তিদের উচ্ছৃঙ্খল জমায়েত দেখতে পান।

এজাহারে বাদী লিখেছেন, ‘উল্লেখ্য যে, তাদের স্লোগান ও নিজেদের কথোপকথন থেকে জানিতে পারি যে, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজত নেতৃবৃন্দ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশি-বিদেশি সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিকে বানচাল করার ও ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে। উক্ত জমায়েত থেকে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা জঙ্গি স্লোগান দিতে থাকে। হেফাজত ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে উক্ত ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নিমিত্তে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিচ, হাতুড়ি, তলোয়ার, বাঁশ, গজারি লাঠি, শাবল ও রিভলবার, পাইপগানসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত আমিসহ অন্যান্য সাধারণ মুসল্লিগণের ওপর হামলা করে।’

হেফাজত নেতাদের জরুরি বৈঠক-‘শরিয়তের আলোকে মামুনুলের বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ’-মানবজমিন

‘শরিয়তের আলোকে মামুনুলের বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ-হেফাজত নেতারা

ইসলামী শরিয়তের আলোকে মাওলানা মামুনুল হকের বিয়ে পরিপূর্ণ শুদ্ধ হয়েছে বলে মত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুপুরে হেফাজতের ঢাকার কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা জরুরি বৈঠক করেন মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়ায় মাদ্রাসায়। কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরীর সভাপতিত্বে সভায় নেতারা বলেন, মাওলানা মামুনুল হক গত ৩রা এপ্রিল তার স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁও রিসোর্টে গিয়েছিলেন। ইসলামী শরিয়তের আলোকে তার বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ মর্মে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। দেশের যে কোনও নাগরিক তার স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যে কোনও স্থানে যাওয়ার অধিকার রাখেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত বিষয়কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এটা জনগণ আশা করেনি। আমরা এ বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানাই।

মামুনুল হক ষড়যন্ত্রের শিকার, দাবি হেফাজতের -ইত্তেফাক

হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করেছেন সংগঠনটির সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, মামুনুল হক তার স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা তাকে হেনস্থা করেছে। তার নামে যে সমস্ত অডিও ক্লিপ বের করা হয়েছে এ বিষয়ে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেবো। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ করতে পারতাম। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটা করিনি। আমরা ইচ্ছা করলে কয়েক ঘণ্টার নোটিশে ঢাকায় ৫ লাখ লোকের সমাবেশ করতে পারতাম। সেটাও করিনি।

রবিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঢাকা মহানগর হেফাজতের এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। মাওলানা সাখাওয়াত বলেন, বরেণ্য আলেম মাওলানা মামুনুল হককে পরিকল্পিতভাবে অপদস্থ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।অন্যের স্ত্রী বিয়ে করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হেফাজতের এই নেতা বলেন, তিনি অন্যের স্ত্রী নয়, মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী। অন্যের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বিয়ে করেছেন, যা শরীয়ত সম্মত।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপ মামুনুল হকের কিনা জানতে চাইলে মাওলানা সাখাওয়াত বলেন, ফোনালাপ নিয়ে বাংলাদেশে তেলেসমাতি হচ্ছে। ফোনালাপ কাটছাঁট করে প্রচার করা হচ্ছে। এগুলো আইনবিরোধী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা বানিয়ে প্রচার করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।

লেজেগোবরে-মানবজমিন

ঢিলেঢালা লকডাউন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ৭ দিনের বিধিনিষেধ। শুরুতে ঘোষণাটা দেয়া হয়েছিল লকডাউনের। তবে প্রজ্ঞাপনে এমন কিছু বলা হয়নি। সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা। শিল্প-কারখানা সচল। তবে নেই কোনো গণপরিবহন। এমন অবস্থায় সকাল থেকেই লেজেগোবরে অবস্থা চারপাশে।নানা দুর্ভোগ সয়ে মানুষ নিজ নিজ কর্মস্থলে যান। দোকান, বিপণি বিতান বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও অনেক স্থানেই দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশার ছিল আধিক্য। নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিনেও একই চিত্র রিকশা-সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ির রাজত্ব, ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। কালের কণ্ঠের খবর-কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিকল্প নেই-করোনা নিষেধাজ্ঞায় কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরছে লাখো মানুষ। দৈনিকটি আরও লিখেছে,নিষেধাজ্ঞা শুধু ঘোষণাতেই.প্রথম দিন গেছে ঢিলেঢালাভাবে-দ্বিতীয় দিনেও একই চিত্র।

কঠোরভাবে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর-মানবজমিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রয়োজনে আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বি শে ষ জ্ঞ ম ত-আংশিক লকডাউন সফল হয় না-মানবজমিন

বিধিনিষেধ বা লকডাউন যাই বলা হোক তা আংশিক বাস্তবায়ন করলে সফলতা আসবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, লকডাউন দিলে পুরো লকডাউন দিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 

(ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক এ বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, লকডাউন হলো করোনা নিয়ন্ত্রণের একটি বৈজ্ঞানিক পন্থা। এবং সেই বৈজ্ঞানিক পন্থাটা হলো সম্পূর্ণরূপে সবকিছুকে স্থবির করে দেয়া। জনসাধারণের চলাচলই শুধু নয়, সমস্ত রকমের কর্মকাণ্ডকে বন্ধ করে দেয়া। যাতে কোনোভাবেই এটা আর সংক্রমণ ছড়াতে না পারে। বাংলাদেশে লকডাউন বলতে প্রথম থেকে যে চিত্র আমরা দেখেছি এবং সরকারের যে ঘোষণা কোনোটাই বৈজ্ঞানিক নয়। এবং এখন যেটা পালিত হচ্ছে অর্থাৎ সরকারের ঘোষণা যেটা সেটা যেমন বিজ্ঞানসম্মত নয়।তিনি বলেন, আংশিক লকডাউন বলতে কোনো লকডাউন নেই। লকডাউন মানেই হলো লকডাউন। ডা. মোজাহেরুল বলেন, লকডাউনটা যেহেতু বৈজ্ঞানিক নয়, তাই জনসাধারণ এটাকে সেভাবে নেয়নি। কারণ, এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই যেভাবে এটা ঘোষণা করা হয়েছে। এবং প্রতিপালিত হয়েছে। জনসাধারণ এটাকে লকডাউন হিসেবে নেয়নি। দ্বিতীয়ত, লকডাউন করার জন্য যেটা দরকার সেটা হলো জনগণের সহযোগিতা। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া কোনোদিন ঘোষণা দিয়ে লকডাউন পালন করা যায় না। কোনো রাষ্ট্র পালন করেনি। করতেও পারবে না। এখানে যে জিনিসটা দরকার সেটা হলো জনগণকে সম্পৃক্ত করা। তখন জনগণই লকডাউনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করবে। এবং লকডাউন পালন করবে। এখন জনগণ সচেতন আছে কিন্তু যেহেতু সম্পৃক্ত হয়নি সে কারণেই তাদের মধ্যে যে একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সেটা হলো এই আংশিক লকডাউন তো কোনো সফলতা আনবে না। আর এটাতো লকডাউন না। জানালা খোলা রেখে দরজায় তালা মেরে রাখবো এটা হয় না।

বাইরের রোগীর চাপে বেসামাল ঢাকার হাসপাতাল- মানবজিমনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,ঘুরছে রোগী এম্বুলেন্সে এম্বুলেন্সে। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে। কোথাও ঠাঁই নেই। হাসপাতালগুলো রোগীতে ঠাসা। পুরাতন রোগী ছাড়পত্র পেলেই কেবল নতুন রোগী ভর্তি সম্ভব। এই সংখ্যাটাও খুবই কম। তাই করোনাসহ অন্যান্য রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগীদের ভোগান্তি একটু বেশি।

কোটিপতি নাইটগার্ড-মানবজমিন

নাইটগার্ড কাম ঝাড়ুদার তরিকুল ইসলাম। দৈনিক হাজিরা ৬০ টাকা। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে গত ১৫ বছর ধরে ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ ভিত্তিতে কাজ করেন তিনি। ঝিনাইদহের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হলেও তার দাপটে তটস্থ অনেকেই। তোয়াক্কা করেন না কাউকেই। রয়েছে ব্যক্তিগত লাঠিয়ালি বাহিনী। অফিসার, অফিস স্টাফ ও দলিল লেখক সবাই একপ্রকার জিম্মি তার কাছে। তার কথা মতো কাজ না করলে স্টাফদের মারধর ও গালিগালাজ করেন- এমন অভিযোগ হরহামেশাই তার বিরুদ্ধে।

মাস্টার রোলের এই চাকরি করেই কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ছাড়া অফিসের সবকিছু তিনিই সামাল দেন এমন অভিযোগ অনেকের। নামে-বেনামে রয়েছে মহেশপুর শহরে তার অঢেল সম্পদ ও আলিশান বাড়ি।মহেশপুর উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩রা ডিসেম্বর একদিনে মহেশপুর পৌর এলাকায় সাড়ে ১১ বিঘা জমি (৩৮৪.৭৫ শতক) কিনে আলোচনায় আসেন নাইটগার্ড তরিকুল। এই জমির দালিলিক মূল্য ৬৮ লাখ ১০ হাজার দেখানো হলেও প্রকৃত দাম কয়েক কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে একজন নাইটগার্ডের জমি কেনা নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। বিতর্ক এড়াতে তিনি এখন তার ভায়রা ভাই মুদি দোকানদার হাফিজুর ও তার ভাইদের নামে জমি কিনে চলেছেন। সম্প্রতি নাইটগার্ড তরিকুল মালিপুকুর পাড়ে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে ১০ শতক ও দুই শতক জমিসহ ৩১ লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি কিনে ভায়রার নামে রেজিষ্ট্রি করেছেন বলে কথিত আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিস স্টাফ ও সাধারণ দলিল লেখকরা জানান, নামপত্তনহীন জমি রেজিষ্ট্রি করতে দলিল প্রতি মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন নাইটগার্ড তরিকুল। জমির শ্রেণির পরিবর্তন করে জাল পর্চা তৈরি, ফি ও রেট কালেকশন থেকে শুরু করে সবই করেন এই নাইটগার্ড। বড় অঙ্কের দলিল হলে তার রেট (ঘুষ) সমিতির নামধারী নেতাদের কিছু দিয়ে বাকি টাকা পকেটস্থ করেন তিনি। সাংবাদিকদের দেয়ার নাম করেও প্রতি সপ্তাহে চাঁদা তোলেন ১৬ হাজার টাকা। এভাবেই দুর্নীতি করে গত ২০ বছর ধরে নাইটগার্ড তরিকুল অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে টাকার পাহাড় গড়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, চাকরি ঝাড়ুদার ও নাইটগার্ডের পদে কিন্তু কস্মিনকালেও তিনি রাতে অফিস পাহারা দেননি। অফিসও ঝাড়ু দেননি কখনো। অবৈধ সম্পদ আড়াল করতে ভাই শফিকুল ইসলামের নামে জমি কিনে রেখেছিলেন।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বাংলাসহ চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট, কঠিন পরীক্ষা বিজেপি-কংগ্রেসের-সংবাদ প্রতিদিন

বাংলা,অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতে একযোগে নির্বাচন আজ। অসমে তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৪০ আসনে চলছে ভোট হয়েছে। ১৪০ আসনের কেরল বিধানসভায় আজ একদফাতেই নির্বাচন হয়েছে। তামিলনাড়ুর ২৩৪ আসনেও আজ একদফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির ৩০ আসনেও ভোট। সার্বিকভাবে এই নির্বাচন বিজেপির জন্য কঠিন হতে চলেছে। কারণ, দক্ষিণের তিন রাজ্যে প্রথমবার মাটি তৈরির চেষ্টায় বিজেপি । আবার অসমে ক্ষমতা ধরে রাখতে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। সব মিলিয়ে ৪ রাজ্যেই কঠিন লড়াই গেরুয়া শিবিরের জন্য।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

দিদি বলছেন মুসলিমরা এক হও, আমরা বললে সংবাদপত্রে শিরোনাম হত, কোচবিহারের সভায় কটাক্ষ মোদির-দৈনিক আজকাল

তৃতীয় দফার ভোটের দিন কোচবিহারে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সভা থেকে হিন্দু-‌মুসলিম প্রসঙ্গে মমতাকে বিঁধলেন মোদি। মমতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে গালি দিচ্ছেন উনি। আমরা যদি বলতাম সব হিন্দু এক জোট হয়ে বিজেপিকে ভোট দাও, নির্বাচন কমিশন ৮ থেকে ১০টা নোটিশ পাঠিয়ে দিত। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও নোটিশ আসত। সব সংবাদপত্রে শিরোনাম হত। দুনিয়াজুড়ে সম্পাদকীয় লেখা হত। আমি জানি না, নির্বাচন কমিশন আপনাকে নোটিশ পাঠিয়েছে কিনা। আপনি প্রকাশ্যে বলছেন, মুসলিমরা এক হয়ে যাও। আমাকে বাঁচাও। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।’‌ ওই সভা থেকে মোদি বলেন, মুসলিম ভোটব্যাঙ্কও আপনার হাতে নেই।

লক্ষ্য বঙ্গজয়, বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসেও বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন

বিজেপি (BJP) কেবল ভোট জেতার মেশিন নয়। দেশের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এভাবেই বিজেপির ৪১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের সাফল্যকে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন যারা তাঁদের দলের ঘোর বিরোধী, তাদেরও সম্মান করে বিজেপি। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সিএএ, কৃষি আইনের মতো বহু বিষয়েই মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এটা খুব বড় ষড়যন্ত্র।তিনি বলেন, ”এই সব রাজ্যে আমাদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়, তাদের পরিবারের উপরে হামলা হয়। কিন্তু তবুও অটল থাকাই আমাদের কর্মীদের বৈশিষ্ট্য।” প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে দুই রাজ্যেই ভোট চলছে। কেরলের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ভোটজয়ে যে বিজেপি মরিয়া, তা যেন আরেকবার পরিষ্কার হয়ে গেল প্রতিষ্ঠা দিবসের বক্তৃতাতেও আলাদা করে এই অভিযোগের উল্লেখে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ