২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে আপত্তি নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিগগিরই খুলে দেয়ার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর
করোনা সংক্রমণ কমে আসার প্রেক্ষিতে বন্ধ রাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিগগিরই খুলে দেওয়া হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আপত্তি নেই।
আজ শনিবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমের যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়ানো হবে না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা চেষ্টা করছি যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবন নিরাপদ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখা যায়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-ঝুঁকির কথা চিন্তা করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল। এখন প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের হার কমে আসছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়ানো হবে না।’
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ দিয়েছিল সরকার। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় প্রায় দেড় বছর পর গত বছরের (২০২১সালে) ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয় ।
তবে নতুন করোনার ভেরিয়েন্টের কারণে পরিস্থিতি ফের অবনতি হওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তী সময়ে আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এদিকে, আজ শনিবার নিজ নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়োকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার-কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আপত্তি নেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিনদিন কমে আসছে। আমরা মনে করি, স্কুল-কলেজ খুলে দিলে কোনো সমস্যা হবে না।’
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘স্কুল-কলেজের প্রায় সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়ে গেছে এবং অনেকেই বুস্টার ডোজ নিয়েছে। সুতরাং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হবে না। যদি কোথাও শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সমস্যা দেখা যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কুল-কলেজ খুলছে এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।’#
পার্সটুডে/এআরকে/এমএএইচ/এআর/১২