অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের ব্যাপারে দীর্ঘসূত্রিতা
জেগে ঘুমাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর: বাংলাদেশ হাইকোর্ট
ঢাকার আশেপাশে অবৈধভাবে পরিচালিত পরিবেশ দুষণকারী ইটভাটা ধ্বংসের ব্যাপারে দীর্ঘসূত্রিতার সমালোচনা করে হাইকোর্ট বলেছে, ‘জেগে ঘুমাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর’। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
এ সময় ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের সব অবৈধ ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

এর আগে 'বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন'-এর পক্ষ থেকে ঢাকার আশেপাশের ইটভাটায় একটি জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে শতকরা ৪৬ ভাগ ইটভাটার অনু্মোদন আছে। বাকিগুলো অবৈধভাবে চলছে। তাদের পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র নেই। কিন্ত জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র দিয়ে চলছে।
এ প্রসঙ্গে আজকের উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়ে 'পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন'-এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান রেডিও তেহরানকে জানান, আদালতের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে।

এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আদালতে তিনশ’টি অবৈধ ইটভাটার তালিকা পেশ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর আদালতকে জানিয়েছে, মানিকগঞ্জের ১১টি অবৈধ ইটভাটার আটটিতে, মুন্সীগঞ্জের ২৬টি অবৈধ ইটভাটার ১৬টিতে, ঢাকার ১১৩টির মধ্যে ২৫টিতে ও গাজীপুরের ৪৬টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৩৩টিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
হাইকোর্টকে আরও জানানো হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণ নিরাময়ের জন্য অধিদপ্তর মাত্র তিনজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে কাজ করছেন। তাদের লোকবল সংকটও রয়েছে।#
পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।